আধুনিক বিশ্বে যান্ত্রিক সভ্যতার চরম উৎকর্ষ সাধন হলেও সর্বত্র মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মানবতার নামে ব্যাপক ঢামাঢোল বাজালেও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চলছে অবিরাম। দেশে-বিদেশে এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে শত শত সংগঠন গড়ে উঠছে। কার্যতঃ এসব সংগঠন ও সংস্থা আড়ালে মানবতাবিরােধী তৎপরতায় বেশীরভাগ লিপ্ত রয়েছে। অধিকার আদায়ের নামে ওরাই। চাতুরতার সাথে দেশে দেশে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে মানবাধিকার খর্ব করার ষড়যন্ত্র করছে। সম্প্রতি ওরা মানবাধিকার সংক্রান্ত বিধিবিধান। তৈরি করলেও ইসলাম সাড়ে তেরশ’ বছর আগেই মানবাধিকারের অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছে। খােলাফায়ে রাশেদীন মাত্র ৩০ বছরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন মানব ইতিহাসে তা চিরদিন স্মরণীয় এবং বিশ্ববাসীর কাছে মডেল হয়ে থাকবে। | সপ্রতি পাশ্চাত্য প্রবর্তিত মানবাধিকার আইন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোন ফল দেয়নি, বরং পুরােপুরি ব্যর্থ হয়েছে। পরিতাপের বিষয় মুসলমানরা ইসলামী জ্ঞানের অভাবে এবং কুরআন ও হাদীস চর্চায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় পাশ্চাত্যের মানবাধিকার বিষয়ক ভূয়া ধারণা ও চমকপ্রদ শ্লোগানকে সঠিক মনে করে অনুসরণ করায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। মুসলমানদের মাঝে লালিত এ হীনমন্যতাকে দূর করে ইসলাম তথা খিলাফাতে রাশেদার মডেলকেই অনুকরণ ও বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা পাশ্চাত্যের মানবাধিকার Concept নিজেদের স্বার্থ হাসিল ও অন্যদের প্রতারিত করার লক্ষেই তৈরি। আর ইসলাম যে মানবাধিকার দিয়েছে তা সার্বজনীন। ইসলাম। মানবাধিকার ভােগে জাতি-ধর্ম গােত্র দেশী-বিদেশীদের মাঝে কোন ভিন্নতা রাখেনি। ইসলামের এ সার্বজনীনতায় মুগ্ধ হয়ে যুগে যুগে এমনকি আজও বিধর্মীরা দলে দলে মুসলমান হচ্ছে।
বিশ্বের আজ সর্বত্র মুসলমানরা নির্যাতিত নিপীড়িত। অধিকারের দাবি। আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত থাকায় মুসলিম জনতার ওপর নির্বিচারে বােমা বর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পৃথিবীর বুক থেকে তাদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে। আর এসব চরম মানবতাবিরােধী কর্মকাণ্ডে মদদ দিচ্ছে খােদ মানবাধিকারের কথিত প্রবক্তারা। স্বদেশেও কি মানবাধিকার বাস্তবায়িত হচ্ছে? কোন তন্ত্র। মন্ত্র নয়, বিশ্ববাসীর প্রকৃত মুক্তি ও কল্যাণ এবং মানবাধিকারের পূর্ণ। বাস্তবায়নে খিলাফাতে রাশেদার মডেল অনুকরণের বিকল্প নেই। এটি নিছক। বক্তব্য নয় বরং এটাই বাস্তবতা। তাই ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ এ বিশ্ব ও হতাশাগ্রস্থ। মানুষদের কল্যাণে কেবলমাত্র আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মুসলমানদের মাঝে এ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই আমাদের এ সেমিনারের। আয়ােজন। বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত ও বঞ্চিত মানুষরা ফের ইসলামের। দিকে ঝুকে পড়বে। আর আল্লাহ ও রাসূলের সন্তুষ্ট অর্জনে কঠোর শপথ নিবে। এবং খােলাফায়ে রাশেদার যুগ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়বে সে প্রত্যাশাই আমাদের।
বইটি পড়তে ও ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
খিলাফাতে রাশেদা: মানবাধিকারের স্বর্ণযুগ