গতকাল ১৬ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টায় রাজধানীর রূপনগরের চলন্তিকা বস্তিতে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডে দুই হাজারের বেশি ঘরের প্রায় সবগুলোই ভষ্মীভূত হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সর্বশান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটনা ঘটে। এই অগ্নি দুর্ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সহ বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ আহত হয়।
এই ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি ঘটনার ভয়াবহতায় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে মর্মামত হন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি সহমর্মীতা জানান। মহানগরী আমীর সিটি কর্পোরেশন সহ কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ সময় তার সাথে নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, রূপনগর থানা আমীর নাসির উদ্দীন, জামায়াত নেতা জামাল উদ্দীন, লিয়াকত আলী ও হাসানুল বান্না চপল এবং ছাত্রনেতা শফি উদ্দীন প্রমূখ।
মহানগরী আমীর তার সঙ্গীদের নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় জনগণ সহ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেন। তিনি এই বিপদে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ভরসা রেখে ও সবরের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ক্ষতিগ্রস্থদের পরামর্শ দেন এবং জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের যথাসম্ভব সহযোগিতার আশ্বাসও প্রদান করেন। তিনি নগরীতে প্রতিনিয়ত এ ধরনের রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও পুনরাবৃত্তি রোধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আগুন নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘসূত্রিতার ঘটনার সমালোচনা করে বলেন, ‘আমাদের দেশে বিশেষ করে ঢাকা সিটিতে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা রহস্যজনকভাবে বেড়েছে। কিন্তু এসব অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণে সরকার বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের আগাম কোন প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায় না। ফলে অনাকাঙ্খিত অগ্নিকান্ডে প্রতিবছরই জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের দেশে অগ্নিনির্বাপন প্রযুক্তি এখনও সেকেলে। তাই যেকোন অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। অগ্নিনির্বাপন সহ যেকোন দুর্যোগে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সীমিত ও সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি অগ্নি দুর্গতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ সহ তাদের পুনর্বাসন, আহতদের সুচিকিৎসা এবং ঘটনার পূনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান এবং স্থানীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের দুর্গত মানুষের দুর্দশা লাঘবের জন্য সকল ধরনের সহযোগিতা করার আহবান জানান।