বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম স্যারের সহধর্মিণী মুহতারামা আফিফা আযম গতকাল ২৮ জুন বিকেল ৫.৪৫ টায় ইন্তিকাল করেছেন-ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মুহতারামা আফিফা আযমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘আফিফা আযমের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং মরহুমার জান্নাত প্রাপ্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করছি। তাঁর পরিবার ও দেশের কোটি জনতা যারা অধ্যাপক গোলাম আযম সহ তার পরিবার প্রতি সমব্যথী ও ইসলামী আদর্শের প্রতি অনুৃরাগী তাদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি’।
‘মরহুমা আফিফা আযম এদেশের অগণিত মানুষের প্রিয় নেতা মরহুম গোলাম আযমের সম্মানীতা স্ত্রী এবং চক্ষুশীতলকারী ছয় পুত্র সন্তানের মা। ১৯৫১ সালে বিবাহ হওয়ার পর থেকে ইসলামী আন্দোলনের পথে ছায়ার মতো মরহুম গোলাম আযম স্যারের সাথে থেকে সহযোগিতা করেছেন’।
‘অধ্যাপক গোলাম আযম এবং আফিফা আযম দম্পতির পাঁচ ছেলে দেশের বাইরে বসবাস করেন। তবুও বয়স ও অসুস্থতাজনিত কারণে অধ্যাপক গোলাম আযম স্যার জামায়াতে ইসলামীর আমীর থেকে ২০০০ সালে অব্যাহতি নিলেও এই দম্পতি দেশেই অবস্থান করেছেন। এমনকি যুদ্ধপরাধের কথিত বিচার শুরু হলে এই অকুতভয় দম্পতি দেশত্যাগ করেননি। অধ্যাপক গোলাম আযম স্যারকে ২০১২ সালে কারাগারে প্রেরণ করা হয় এবং ২০১৪ সালে তিনি কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেন’।
‘২০১৬ সালে তাদের সন্তান সাবেক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে গুম করা হয়। তিনি এখনো নিখোঁজ আছেন। এতো কিছুর পরেও সবর ও সহনশীলতার সাথে দেশেই অবস্থান করেছেন মরহুমা আফিফা আযম। আজ তিনি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেন। মহান আল্লাহর কাছে এই মহিয়সী নারীর জান্নাতুল ফেরদাউস প্রাপ্তীর জন্য দোয়া করছি। তাঁর নিখোঁজ ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর দ্রুত সন্ধান ও মুক্তির আহবান জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ কাছে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সবর করার তৌফিক চাচ্ছি। আমীন!’