মৃত্যুর পরই মানুষ পা বাড়ায় আখিরাতের সেই অনন্ত জীবনে, যার তুলনায় এই পার্থিব জীবন একেবারেই তুচ্ছ, নগণ্য ও ক্ষণস্থায়ী। এই পার্থিব জীবনে প্রতিটি মানুষই দৌড়াচ্ছে, ছুটে চলছে ; করে চলছে প্রাণান্তকর সংগ্রাম-সাধনা ; নিরত রয়েছে চরম চেষ্টা ও প্রচেষ্টার মধ্যে। কুরআন মজিদে এটাকে বলা হয়েছে সা’য়ী। প্রতিটি মানুষই সায়ী করে চলেছে নিরবধি। একদল লােকের সা’য়ীর কেন্দ্র এই ক্ষণস্থায়ী পার্থিব জীবন, আরেক দলের সা’য়ীর কেন্দ্র আখিরাতের অনন্ত জীবন।
প্রথমােক্ত দলের চূড়ান্ত লক্ষ্য দুনিয়ার জীবনের প্রাপ্তি ও সাফল্য। আখিরাতের অনন্ত জীবনে এদের জন্যে নিদারুণ যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ও প্রজ্জ্বলিত আগুনের জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই নেই। শেষােক্ত দলের চুড়ান্ত লক্ষ্য আখিরাতের অনন্ত জীবনের প্রাপ্তি ও সাফল্য। দুনিয়ার জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, বিপদ-মুসিবত, দু:খ-বেদনা, অত্যাচার-নির্যাতন, এমনকি জীবন-মরণের পর্যন্ত তারা পরােয়া করেনা। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য পথে যা-কিছুই বাধা কিংবা বিপত্তি হয়ে দাঁড়ায়, সেগুলােকে ডিংগাতে, পরিত্যাগ করতে, কিংবা বিসর্জন দিতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ তারা করেনা। আল্লাহর ইচ্ছায় এরা দুনিয়ার জীবনেও কিছুনা কিছু কল্যাণ লাভ করে থাকে। তবে তাদের পরম প্রত্যাশিত আখিরাতের মুক্তি, সাফল্য ও বিজয়ের অঙ্গীকার তাদের মালিক রাব্বুল আলামীন তাদের সাথে করে রেখেছেন।
কুরআন মজিদে এই দুইদল লােকের সা’য়ীর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, পথ-পদ্ধতি ও চরম-পরম পরিণতির বিশদ বিবরণ বিধৃত হয়েছে মর্মস্পর্শী ভাষায়। তাতে এক দলের জন্যে রয়েছে মহাবিপদের সতর্ক সঙ্কেত। আরেক দলের জন্যে রয়েছে মুক্তি ও মহাবিজয়ের শুভ সংবাদ। আমরা ভেবেছি, কালামুল্লাহ (আল্লাহর বাণী) থেকে এই দুইদল লােকের সা’য়ীর বিবরণ ও পরিণতির কথা একটি ছােট্ট পুস্তিকায় লিপিবদ্ধ করলে লােকেরা তা এক নজরেই (at a glance) দেখতে পাবে। সেইসাথে নিজ জীবনের সা’য়ীর কেন্দ্র ও লক্ষ্য কী ও কোনটি হওয়া উচিত সে বিষয়ে নিতে পারবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এ উদ্দেশ্যেই লেখা হয়েছে এ পুস্তিকা।
সুলেখক আবদুস শহীদ নাসিমের আমাদের জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত এই প্রসঙ্গে লিখিত বইটি ডাউনলোড করতে ও পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
আপনার প্রচেষ্টার লক্ষ্য দুনিয়া না আখিরাত?