বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনের ২০ দলীয় জোট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. শফিকুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কর্তৃক যুগপৎভাবে প্রচার কার্যক্রমে বাধাদান, হামলা, প্রচারযান সহ মাইক ভাঙচুর, কর্মীদের নির্মমভাবে মারধর করে পুলিশে দেয়া ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এক বিবৃতিতে মহানগরী উত্তর আমীর বলেন, সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। সরকার দলীয় প্রার্থীরা নির্বিঘেœ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেও বিরোধী দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারকাজে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরে কচুক্ষেতের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফারুক হোসেন নামের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর একজন নির্বাচনীকর্মীকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতরাতে পোষ্টার লাগানোর সময় পুলিশ আলমগীর হোসেন নামে একজন নির্বাচনী কর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় এবং সকল পোষ্টার সহ নির্বাচনী সামগ্রীতে অগ্নিসংযোগ করে। কাজীপাড়ার ইটখোলা বাজারে ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণায় মাইকিং করার সময় ১৪ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাহার ও যুবলীগ সেক্রেটারি সাজু সহ সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা প্রচার কাজে নিয়োজিত সিএনজিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং সিএনজি ও মাইক ভাঙ্গচুর করে। একই সাথে ড্রাইভার শফিকুর রহমান ও ঘোষক মোরসালিনকে নির্দয়ভাবে মারধর করে পুলিশে দেয়। আজ আগারগাঁও-এর তালতলায় নির্বাচনী কর্মীরা পোষ্টার লাগাতে গেলে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায় এবং দেলোয়ার নামে একজন কর্মীকে বেধরক মারধর করে পুলিশে দেয়। সন্ত্রাসীরা তাদের কাছ থেকে নির্বাচনী সামগ্রী কেড়ে নিয়ে যায়। যা নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধির মারাত্মক লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, জুলুমবাজ সরকার ভালভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই তারা নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব বিস্তারের জন্য আজ্ঞাবহ লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন সাজিয়েছে। গণপ্রশাসন সহ রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল বিভাগই দলীয়করণ করা হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি সময়ের দাবি হলেও সরকারের সদিচ্ছার অভাব, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপর্যুপরি ব্যর্থতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় বাধাদান, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি, হামলা, মামলা, গ্রেফতার, মারধর ও ভাঙ্গচুরের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানান এবং ডিবি কর্তৃক আটককৃত ফারুক হোসেনের সন্ধান সহ গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল-
আজ বিকেল ৪ টায় সেগুনবাগিচাস্থ রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে ২০ দলীয় জোট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের নির্বাচনী প্রচার কাজে বাধাদান, হামলা, সিএনজি ও মাইক ভাঙ্গুর, সিএনজি ও মাইক সহ প্রচার কাজে ব্যবহৃত নির্বাচন সামগ্রী আটক এবং ড্রাইভার ও ঘোষক গ্রেফতার , নির্বাচনী পোষ্টার কেড়ে নেয়া, ছেঁড়া ও ব্যাপক ধরপাকড়ের বিষয়ে ধানের প্রতীকের এজেন্ট লস্কর মোহাম্মদ তসলিম সাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগপত্র সহকারি কমিশনার শুক্লা সরকারের নিকট দাখিল করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য মুহাম্মদ আতাউর রহমান সরকার। উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট ইব্রাহীম খলিল ও ছাত্রনেতা গোলাম সরওয়ার প্রমূখ।