বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, জননেতা ডা. শফিকুর রহমান একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক, বিশিষ্ট সমাজসেবক, প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং সর্বোপরি তাকওয়াবান জাতীয় নেতা। তিনি ঢাকা-১৫ আসনে ২০ দলীয় জোট মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। তার যোগ্য, খোদাভীরু ও গতিশীল নেতৃত্ব এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সহ জাতীয় উন্নয়নে সহায়ক হবে। তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে ডা. শফিকুর রহমানকে নির্বাচিত করতে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ঢাকা-১৫ আসনের নির্বাচন সমন্বয় কমিটির এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম ও মাহফুজুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশ ও জাতি এক মহাক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকার পরিকল্পিতভাবেই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। পুরো প্রশাসনযন্ত্রকে সাজানো হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের অনুকুলে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন সারাদেশেই ঢালাওভাবে গণগ্রেফতার ও গণনিগ্রহ চলছে। এমনকি তফসিল ঘোষণার পর শুধুমাত্র ঢাকা-১৫ নির্বাচনী এলাকা থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সহ ২০ দলীয় জোটের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচনী গণসংযোগ করার সময় মিরপুর এলাকা থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর ৬ জন নির্বাচনী কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে হালিমা খাতুন নামীয়া ১ জন সহ ২ জন মহিলা নির্বাচনী কর্মীও রয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১২, ১৩ ও ১৪ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর মাসুদা আক্তার ও স্থানীয় নির্র্বাচন কর্মী কামরুন্নাহারকে কোন প্রকার মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়। এর আগে মিরপুর থানা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আব্দুল, সাধারণ সম্পাদক ওয়াইজ উদ্দীন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুকুল সহ ২০ দলীয় জোটের স্থানীয় নেতাদের ঢাকা জর্জকোট চত্তর থেকে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল ঢাকা-১৫ নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের পোষ্টার লাগানোর সময় শেরেবাংলা নগরে ১ জন, ভাষানটেকে ৩ জন এবং মিরপুরে ৪ জনকে মারধর করার পর ১ জনকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে স্থানীয় নির্বাচন অফিসে বারবার অভিযোগ করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই সচেতন মহলে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে, ‘এই কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের নমূনা ?’
তিনি আরও বলেন, মূলত নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পারেনি। সারাদেশে বিরোধী দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়ার ঘটনাও ক্রমেই বাড়ছে। এমনকি ঢাকা-১৫ আসনের সরকার দলীয় প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার ২০ দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী ডা. শফিকুর রহমানের চরিত্রহননমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় ডা. শফিক সহ তার নির্বাচনী কর্মীদের নির্বাচনী এলাকায় যেকোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন সহ নির্বাচনী পরিবেশকে সংঘাতপূর্ণ করে তুলেছেন। আইন ও বিধি মোতাবেক সরকার দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী অপরাধের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ থাকলেও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন সকল ক্ষেত্রেই নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ফলে বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা নির্বাচনী কেম্পেইন তো দূরের কথা নিজেদের বাড়ীঘরেও থাকতে পারছেন না। তিনি সরকার দলীয় প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ভঙ্গের জন্য প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় জাতীয় ও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সীমাহীন অবহেলা ও ব্যর্থতার জন্য এই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরকে একদিন জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
নির্বাচন অফিসে অভিযোগ দাখিল-
ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে ২০ দলীয় জোট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা, লিফলেট ও পোষ্টার লাগানোয় বাধা প্রদান, নির্বাচনী কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার, সরকার দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উস্কানী সৃষ্টির বিষয়ে রাজধানীর শেগুনবাগিচাস্থ আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ডা. শফিকের পক্ষে নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হয়ে অভিযোগনামা দাখিল করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য মো. সলিম উল্লাহ ও এ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসাইন প্রমূখ।
তারা অভিযোগ করেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর ঢাকা-১৫ নির্বাচনী এলাকা থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সহ ২০ দলীয় জোটের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচনী গণসংযোগ করার সময় মিরপুর এলাকা থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর ৬ জন নির্বাচনী কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে হালিমা খাতুন নামীয়া ১ জন সহ ২ জন মহিলা নির্বাচনী কর্মীও রয়েছেন। নির্বাচনী কর্মীদের বাড়ী বাড়ী পুলিশি তল্লাসী, ভাঙ্গচুর ও আতঙ্ক সৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে এবং তা এখন অব্যাহত আছে।
তারা অভিযোগ করেন, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১২, ১৩ ও ১৪ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর মাসুদা আক্তার ও স্থানীয় নির্র্বাচন কর্মী কামরুন্নাহারকে কোন প্রকার মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়। এর আগে মিরপুর থানা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আব্দুল, সাধারণ সম্পাদক ওয়াইজ উদ্দীন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুকুল সহ ২০ দলীয় জোটের স্থানীয় নেতাদের ঢাকা জর্জকোট চত্তর থেকে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল ঢাকা-১৫ নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের পোষ্টার লাগানোর সময় শেরেবাংলা নগরে ১ জন, ভাষানটেকে ৩ জন এবং মিরপুরে ৪ জনকে মারধর করার পর ১ জনকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। যা নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে বাধাগ্রস্থ করছে।