গত ৪ ডিসেম্বর রাত ৮ টায় উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকার একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে বিশিষ্ট আইনজীবী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য এ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসাইন সুজা, স্থানীয় ইসরাফিল হোসেন, তাজ উদ্দীন, নাজিম উদ্দীন ও শরীফ পাটোয়ারিকে পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আটক করে এখন পর্যন্ত আদালতে সোপর্দ না করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম।
এক বিবৃতিতে মহানগরী উত্তর নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার হরণ করার জন্যই জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা, প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা ও বাছাই পর্ব শেষ হওয়ার পরেও সারাদেশে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গায়েবী মামলা ও পুরাতন মামলায় গ্রেফতারও অব্যাহত রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা জরুরি হলেও সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার জন্য নির্বাচনী ময়দানকে আরও বেশী অসমতল করে তুলছে। মূলত ক্ষমতাসীনরা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়।
তারা বলেন, সরকারের জুলুম-নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গত ৪ ডিসেম্বর উত্তরার দিয়াবাড়ীর একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে বিশিষ্ট আইনজীবী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য এ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসাইন সুজা, স্থানীয় ইসরাফিল হোসেন, তাজ উদ্দীন, নাজিম উদ্দীন ও শরীফ পাটোয়ারিকে পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করার আইনী বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। যা মানবাধিকার, আইন ও সাংবিধানিক শাসনের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে। এমতাবস্থায় গ্রেফতারকৃতদের পরিবার-পরিজন উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন।
তারা আরো বলেন, সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন পেশি শক্তির জোরে ক্ষমতা দখলে রাখার অপচেষ্টা লিপ্ত। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্ব হলেও সরকার বিরোধী দল দমনের জন্য পুলিশ বাহিনীকে জনগণের বিপক্ষে লেলিয়ে দিয়েছে। মহানগরী নেতৃদ্বয় এ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসাইন সুজা সহ ৫ জনকে বেআইনীভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।