নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার পরও ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী সন্দেহে নারী সহ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার ও গণহয়রানীর তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ এবং আটককৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এক বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতেই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনের রক্ষাকবচ কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাতিল করেছে। নির্বাচন কমিশনকে দলবাজ লোকদের দিয়ে সাজিয়ে তা ক্ষমতাসীনদের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করা হয়েছে। গণপ্রশাসন ও আইন-আদালত সহ রাষ্ট্রের সকল সেক্টরকেই করা হয়েছে দলীয়করণ। ফলে দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সম্ভবনা অনেক আগেই তিরোহিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এমনই এক বৈরি ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট সহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার ও নির্বাচনের কমিশনের দায়িত্ব হলো সবার জন্য সমতার পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু গণবিচ্ছিন্ন সরকার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না জেনেই গায়েবী মামলা ও গণগ্রেফতার সহ নানা ধরনের নির্যাতনমূলক কাজ অব্যাহত রেখেছে। সে ধারাবাহিকতায় গত কয়েক দিনে ঢাকা-১৫ নির্বাচনী এলাকা থেকে জাহানারা বেগম, আব্দুল মুগনী, হালিম খাতুন, তাসলিমা খন্দকার, তৌফিক হোসেন প্রিন্স, ওয়াহিদুর রহমান তপন ও রফিকুল ইসলাম সহ আরও অজ্ঞাতনামা নারী-পুরুষ সহ অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের নামে অতীতে কোন মামলা ছিল না। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে অতিউৎসাহী হয়ে গ্রেফতার করে নতুন করে মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে ময়দান ছাড়া করার সরকারি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে লিপ্ত। অথচ সেবাদাস নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে বলে দাবি করে যাচ্ছে। আসলেই এটিই কি কমিশনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের নমূনা ? এর আগেও পুলিশ অধ্যাপক আনোয়ালরুল করিম ও সেলিম উদ্দীন খলিফা সহ বেশ কিছু বিরোধী দলীয় কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। যা গণতন্ত্রপ্রিয় ও আত্মসচেতন মানুষকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। তাই এই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের অধীনে কোন ভাবেই অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।
তিনি ঢাকা-১৫ নির্বাচনী এলাকা থেকে নিরীহ নারীসহ বিরোধী দলীয় কর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার আহবান জানান। অন্যথায় আসন্ন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।