বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মজলিশে শুরা সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও মোহাম্মদপুর থানা পশ্চিমের আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন বলেছেন, মূলত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনা আধিপত্যবাদী ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের চেতনা। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার, ফ্যাসীবাদ, জুলুমতন্ত্র ও অগণতান্ত্রিক শক্তির মোকাবিলায় সকলকে সোচ্চার হতে হবে। তিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদ থানা পশ্চিম আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা সেক্রেটারি আব্দুল ওয়াজেদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা এনামুল হক, আবুল কালাম আজাদ, কাজী আখিরুজ্জামান, এবাদত হোসেন ও মাওলানা বদরুল হক প্রমূখ।
মাওলানা দেলাওয়ার বলেন, অবাধ গণতন্ত্র, সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠায় প্রত্যাশা নিয়েই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারের বিভেদের রাজনীতির কারণেই আজও আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র পূনর্গঠনে যখন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা উচিত ছিল তখন ক্ষমতাসীনরা জাতিকে বহুধাবিভক্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করেছে। তারা নিজেদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার জন্যই দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল। তারা তামাশা ও ভাওতাবাজীর নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে নতুন করে বাকশাল কায়েমের দিবাস্বপ্ন দেখছে। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন কখনো বাস্তবরূপ নেবে না বরং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ তা রুখে দেবে।
তিনি বলেন, মূলত সিপাহী-জনতার ঐক্য ও সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে আধিপত্যবাদী অপশক্তির হাত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা হয়। সিপাহী-জনতার সাথে সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষ রাজপথে নেমে আসে এবং দেশ, জাতি, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলে। এর মাধ্যমে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রকৃত চিন্তা-চেতনা, বোধ-বিশ্বাস, আবেগ-অনুভূতি ও দেশপ্রেমের স্ফূরণ ঘটে। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে আধিপত্যবাদ ও দুঃশাসন মুক্ত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। তিনি হৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
রূপনগর থানা
রূপনগর থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াত নেতা জামাল উদ্দীনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন থানা আমীর মো. নাসির উদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দসহ এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।
ভাষানটেক থানা
ভাষানটেক থানার উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য ও থানা আমীর আলাউদ্দীন মোল্লা। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আলী হায়দার, ইকবাল হোসেন খান, কাউসার, মাহতাব, হারুন ও মিজান প্রমূখ।
কাফরুল থানা উত্তর
কাফরুল থানা উত্তরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য ও থানা আমীর আব্দুল মতিন খান। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা খান মোস্তফা হাবীব. ড. জয়নাল আবেদীন, মোস্তফা কামাল পাশা, কেরামত বিন আহমদ মিয়াজী, সোহরাব হোসেন, সাইদুল ইসলাম ও মতিউর রহমান প্রমূখ।
হাতিলঝিল থানা পশ্চিম
হাতিরঝিল থানা পশ্চিমের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য ও থানা আমীর মু. আতাউর রহমান সরকার। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি ইউসুফ আলী মোল্লা, জামায়াত নেতা সুলতান মাহমুদ ও আবু সাঈদ মন্ডল প্রমূখ।
আদাবর থানা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আদাবর থানার উদ্যোগে নগরীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াত নেতা হাসান আব্দুল্লাহ সাকিবের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি এস এম আব্দুল হান্নান। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা শামসুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার শফিক, মো. আবু জাফর, আব্দুর রহমান ও আব্দুর রশীদ প্রমূখ।