১. বিদেশ নির্ভরতা যথাসাধ্য কমিয়ে দেশীয় ও কৃষিজ কাঁচামাল ভিত্তিক শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটানো এবং অর্থনীতির সকল সেক্টরে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভরতামুখী নীতি অনুসরণ করা হবে।
২. সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুল্ক ও আয়কর বিভাগের আইনসমূহ সংশোধন করে যুগোপযোগী ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সম্প্রসারণ করা হবে।
৩. সুদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংকসমূহে ঋণের সুদের হার পর্যায়ক্রমে কমানোসহ আমানত ও ঋণের সুদের হারের মধ্যে ব্যবধান হ্রাস করা হবে।
৪. বেকার যুবকদেরকে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দীর্ঘ মেয়াদী সুদ মুক্ত ঋণ দিয়ে ব্যবসা ও শিল্প ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা ত্বরান্বিত করা হবে।
৫. দারিদ্র্য সীমা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা হবে।
৬. দেশের ভূমি, শ্রম, মূলধন, কাঁচামাল ও প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৭. বেসরকারী খাতের উন্নয়নের ওপর যথাযথ গুরুত্ব প্রদান, এ সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালাকে আধুনিকীকরণ এবং সরকারী সহযোগিতাকে আরো উদার করা হবে।
৮. প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত অর্থ যথাযথ বিনিয়োগের জন্য সকল প্রকার প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
৯. দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য বিশেষভাবে চীন, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান প্রভৃতি প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক রাষ্ট্রসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে।
১০. দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে, এ সংক্রান্ত নীতিমালা যুগোপযোগী করা এবং বিনিয়োগ বোর্ডকে শক্তিশালী করা হবে।
১১. দেশের আর্থিক খাতকে গতিশীল ও সুশৃঙ্খল করা হবে এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
১২. দেশের সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা হবে।
১৩. সময় ও সরকারী অর্থ অপচয় রোধ এবং উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রকল্প ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধারাকে পরিবর্তন করে কর্মসূচী ভিত্তিক ধারা প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
১৪. সরকারী অর্থে উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প প্রণয়ন না করে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারী দপ্তরসমূহকে কর্মসূচী ভিত্তিক অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে।
১৫. প্রদত্ত যাকাত আয়কর মুক্ত করা হবে।