পতিত স্বৈরাচার নতুন করে দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে; তাই ফ্যাসীবাদের সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বিমানবন্দর থানা জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা এনামূল হক শিপনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি আব্দুল্লাহর পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম,কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জামাল উদ্দিন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশ এক মহাক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। অর্জিত বিজয় ও বিপ্লবকে বিতর্কিত করার জন্য পতিত ফ্যাসীবাদ এবং তাদের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার নানাবিধ অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এমতাবস্থায় দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জামায়াতে ইসলামী সহ দেশপ্রেমী শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। গড়তে হবে জামায়াত-শিবির-জনতার বৃহত্তর ঐক্য। তাহলে গণবিরোধী ও আধিপত্যবাদীদের সকল স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। মূলত, অর্জিত বিজয়কে টেকসই ও দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে প্রতিটি ঘরে ঘরে মানুষের মধ্যে গণসচেতনা তৈরি করতে হবে। তিনি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশপ্রেমী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী-বাকশালীরা কথাকথিত বিচারের নামে দেশকে বাধ্যভূমিতে পরিণত করেছিলো। তারা জনপ্রিয় ও দেশবরণ্যে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে দানবীয় মাতমে মেতে উঠেছিলো। আওয়ামী লীগ লাখ লাখ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীর নামে নির্বিচারে মামলা, গণগ্রেফতার, রিমান্ডের নামে নির্যাতন এবং মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে সাজানো বিচারের মাধ্যমে নানাভাবে দণ্ডিত করেছিলো। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম পরিহাসে তারা এখন ক্ষমতা হারিয়ে ব্যাপকভিত্তিক গণহত্যার অভিযোগে হাজার হাজার মামলার মুখোমুখি হয়ে তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় সকলেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ, গুপ্তহত্যা নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তিনি খুনী শেখ হাসিনা সহ তার দোসরদের অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় দেশ ও জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে না।