কুরআন-হাদিসের নিরবিচ্ছিন্ন চর্চার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী সৃষ্টি; আত্মগঠন,আত্মশুদ্ধি এবং দাওয়াতি কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ী করতে ইউনিট দায়িত্বশীলদের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোর আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা।
তিনি গতকাল রাত ৮টায় রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে হাতিরঝিল পূর্ব থানা জামায়াত আয়োজিত এক ইউনিট দায়িত্বশীল শিক্ষা বৈঠক প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর এডভোকেট জিল্লুর রহমান আযমীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি খন্দকার রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় শিক্ষা বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারী মাহফুজুর রহমান, হাতিরঝিল জোনের পরিচালক হেমায়েত হোসেন ও সহকারী পরিচালক মু. আতাউর রহমান সরকার। উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মনিরুল ইসলাম, ডঃ মাওলানা আনোয়ারুল হক, আজগর হোসাইন, ডাঃ আবুল হাসেম মুন্সী, আনোয়ার হোসাইন আজিজ ও হাফেজ হাবিবুর রহমান জিয়াদ প্রমূখ।
ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা বলেন, জামায়াত ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেশকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজ মুক্ত করতে চাই। আর এ মহতি কাজে আঞ্জাম দেওয়া আমাদের পক্ষে একা সম্ভব নয়। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সকলের সার্বিক সহযোগিতা করার দরকার। আর সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমরা দেশ ও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি বরং তারা অর্জিত বিজয়কে ব্যর্থ করার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই এ অপশক্তির অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে আরও সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তিনি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদার মুক্ত ইসলামী কল্যাণমূলক বাংলাদেশ গঠনে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে ইউনিট দায়িত্বশীল সহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর প্রতি আহবান জানান।
লক্ষ্মীপুরে স্কুল শিক্ষার্থীদের সিঙ্গেল ডিজিট সম্বর্ধনা
আগস্ট বিপ্লব অর্থবহ করতে ছাত্র-জনতা সব সময়ই ঐক্যবদ্ধ থাকবে
-ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
দেশ ও জাতির বড় বড় অর্জন ছাত্রদের হাত ধরেই এসেছে; তাই চলমান শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছাত্র সমাজকে নিজেদের যোগ্যতা, প্রজ্ঞা ও কর্তব্যনিষ্ঠাকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে জাতির নেতৃত্ব গ্রহণে নিজেদেরকে প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ সকালে লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামীর ছাত্রশিবিরের লক্ষ্মীপুর শহর শাখা আয়োজিত স্কুল শিক্ষার্থীদের সিঙ্গেল ডিজিট সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শহর শাখার সভাপতি ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও আব্দুল আউয়াল হামদুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়া। বক্তব্য রাখেন শিবিরের সাবেক শহর সভাপতি ফয়েজ আহমেদ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, ছাত্র সমাজই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই আগামী দিনের দেশ ও জাতির নেতৃত্ব দেবেন। কবির ভাষায়, ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সবশিশুরই অন্তবে’। তাই ছাত্রদেরকে সবার আগে নিজেকে চিনতে হবে। নির্ধারণ করতে হবে আগামী দিনে করণীয়। তাদেরকে প্রচলিত নেতিবাচক গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে না দিয়ে মেধা, মনন ও প্রতিভা বিকাশে আত্মনিয়োগ করতে হবে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের দেশাত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মগঠন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মানবীয় গুণাবলী অর্জন করতে হবে। মূলত, নতুন প্রজন্মই দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম। তিনি দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ছাত্র সমাজ সচেতন থাকার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তপিচ্ছিল পথেই আমাদের আগস্ট বিপ্লব এসেছে। কিন্তু শহীদদের রক্তের দাগ না শুকাতেই স্বার্থান্বেষী মহল নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা আবার পতিত ফ্যাসীবাদ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। কারো কারো বক্তব্যে মনে হচ্ছে শুধুমাত্র ক্ষমতার পালাবদলের জন্যই শত শত ছাত্র-জনতা রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। কিন্তু এদের কথায় ছাত্র-জনতা কোন ভাবেই বিভ্রান্ত হবে না বরং আগস্ট বিপ্লবকে ফলপ্রসূ ও অর্থবহ করার ছাত্র-জনতা যেকোন ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত থাকবে। তিনি নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে সকলকে ইতিবাচক রাজনীতি চর্চার আহবান জানান। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের জনগণের কাছে জবাবদিহী করতে হবে।