বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে দলন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও রাজশাহী মহানগরী আমীর প্রফেসর ড. আবুল হাশেম সহ ১১ নেতাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু জুুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন ফ্যাসীবাদী ও স্বৈরাচারি শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি, আর আওয়ামী লীগেরও হবে না। তিনি জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখী হতে হবে।
তিনি আজ রাজধানীতে ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও রাজশাহী মহানগরী আমীর প্রফেসর ড. আবুল হাশেম সহ ১১ নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এ বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি শ্যামলী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ওভার ব্রিজের দক্ষিণ দিকে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, মহানগরী মজলিশে শুরা সদস্য ডা. শফিউর রহমান, নাসির উদ্দীন, মিজানুল হক, আব্দুল মতিন খান, সাইফুল কাদের ও আব্দুল আউয়াল আজম, শিবিরের ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সভাপতি আব্দুল আলীম, সেক্রেটারি জোবায়ের হোসেন রাজন ও ছাত্রনেতা বোরহান উদ্দিন প্রমূখ।
মাহফুজুর রহমান বলেন, জামায়াত একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও বৈধ রাজনৈতিক সংগঠন। জামায়াত দলীয় কার্যক্রম পরিচালনায় দেশের আইন, সংবিধান ও প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু পুলিশ সম্পূর্ণ ন্যাক্কারজনকভাবে ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াতের নেতৃত্বে ঘরোয়া বৈঠক চলাকালে তিনিসহ ১১ নেতাকে গ্রেফতার করেছে। যা আইনের শাসন, মানবাধিকার ও রাষ্ট্রীয় সংবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন। তিনি সরকারকে বিরাজনীতিকরণের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক শাসনে ফিরে আসার আহবান জানান। অন্যথায় জনগণ ফ্যাসীবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, সরকার দেশকে নেতৃত্বশূণ্য করে করদরাজ্য বানানোর জন্যই দেশপ্রেমী জাতীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ সরকারের আমলেই জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য পরিকল্পিতভাবে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ফরমায়েসীবাদী বাদী, সাজানো সাক্ষী ও দলীয় প্রসিকিউশনের মাধ্যমে বিচারের নামে প্রসহন করে সাবেক অমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা এবং সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে, জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে জামায়াতের অগ্রযাত্রা অতীতে রুদ্ধ করা যায়নি আর কখনো যাবেও না। তিনি সরকারের গণবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দলমত, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।