জামায়াত দেশকে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে অপশাসন- দুঃশাসন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজউল করিম।
তিনি গতকাল রাত ৮.৩০টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি মিলনায়তনে মোহাম্মদপুর মধ্য থানা জামায়াতের ৩১ নং ওয়ার্ডের পেশাজীবী ইউনিট আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইউনিট সভাপতি সাইয়েদুল বাশার মোতালেবের সভাপতিত্বে ও ইউনিটের অফিস সম্পাদক সেলিম সরদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদপুর মধ্য থানার আমীর মশিউর রহমান,সেক্রেটারি ইমরান আলী প্রমূখ।
ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী-বাকশালীরা বিগত প্রায় ১৬ বছর দেশের মানুষকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে দেশের যুব সমাজের মূল্যবোধ ও চরিত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের আলেম-উলামা ও ইসলামী চিন্তাবিদদের জঙ্গী তকমা দিয়ে তাদের ওপর নির্মম জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। ফ্যাসীবাদীরা মহাগ্রন্থ আল কুরআনকে জঙ্গীবাদী গ্রন্থ এবং কুরআন প্রেমিদেরকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে অপমান-অপদস্ত করেছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী যারাই ইসলাম ও আল কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে প্রকারান্তরে তারাই ফেরাউন, নুমরূদ, কারুন, হামান ও সাদ্দাদের মত অপদস্ত ও অপমানিত হয়েছে। পতিত ফ্যাসীবাদ আওয়ামী লীগ তার জলন্ত প্রমাণ। তিনি দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ইসলামের শেকড় অনেক গভীরে। তাই ইসলামের বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হয়নি,আগামী দিনেও হবেনা ইনশাআল্লাহ । আওয়ামীলীগ যে একটি ফ্যাসীশক্তি তা তারা বারবার প্রমাণ করেছে। তারা দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ২০০৬ সালে রাজপথে লগি-বৈঠার তাণ্ডবের মাধ্যমে প্রকাশ্যে রাজপথে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে দানবিক পৈশাচিকতায় মেতে উঠেছিল। তারা অন্য দেশের ইন্ধনে ৫৭ জন দেশপ্রেমী, মেধাবী ও চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অরক্ষিত করে ফেলেছে। আওয়ামী শাসনামলেই ব্যাংক ও শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী এবং দেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার করে জাতীয় অর্থনীতিতে ধ্বংস করা হয়েছে। তাই জালেমদের আল্লাহর ফয়সালা অনুযায়ী পতন হয়েছে। তিনি পতিত ফ্যাসীবাদীদের অপতৎপরতা সম্পর্কে সকল সতর্ক থাকার আহবান জানান। অন্যথায় অর্জিত বিজয় হুমকীর মুখোমুখি হবে।