ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের বিশ্রাম গ্রহণের সুযোগ নেই বরং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্যে অবিচল থাকতে হবে; তাই দ্বীনের পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত সকলকে ময়দানে অকূতোভয় সৈনিকের ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ লক্ষ্মীপুরে লাহারকান্দি ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আবু শরীফ ইয়াকুবের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা ফারুক হোসাইন নুর নবী। উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাছির উদ্দিন মাহমুদ, শহর জামায়াতের আমীর এড. আবুল ফারাহ নিশান, লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মোহাব্বত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, ২০০৮ সালের পাতানো ও ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে গত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী-বাকশালী সরকার দেশে নির্বিবাদে হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চালিয়ে দেশকে রীতিমত বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র দেড় মাসের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সাহসী, মেধাবী ও চৌকস সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড সরাসরি শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা জড়িত । তারা কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে জাতীয় নেতাদের একের পর এক হত্যা করে দেশের মানচিত্রকে রক্তাক্ত ও কলুষিত করেছে। ৫ মে হেফাজতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পৈশাচিত নিধনযজ্ঞ চালানো হয়। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি বরং ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। তাই এই বিজয়ের ফসল পুরোপুরি ঘরে তুলতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জামায়াতের সকল স্তরের জনশক্তিকে সব সময় সতর্ক থাকার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতন্ত্রীরা রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিচার বিভাগ, ব্যাংক-বীমাসহ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, জনপ্রশাাসন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী-বাকশালী শাসনামলে অসংখ্য হত্যাকাণ্ড সহ যত অন্যায়-অবিচার সংগঠিত হয়েছে বাংলার মানুষ একদিন এর ন্যায়সংগত বিচার করবে-ইনশাআল্লহ । নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতার দাবী ছিল একটা বৈষম্যহীন ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গড়ার। জামায়াতে ইসলামী দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি স্বপ্নের সেই বাংলাদেশ গড়ার জন্য জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তিকে কুরআন-হাদীসের আলোকে জীবন গড়ার পাশাপাশি অসহায়, সমস্যাগ্রস্ত, নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে তাদেরকে সার্বিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানান ।