যুক্তিবিদদের মতে কেউ যদি কোনো বিষয় সম্বন্ধে ভালোভাবে না জানেন, তাহলে সেই বিষয়ে তার মত না দেওয়াটাই উত্তম। কেননা, অজানা কোনো বিষয় সম্বন্ধে ঢালাওভাবে মন্তব্য করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি আন্দাজে ও অনুমান নির্ভর মন্তব্য কখনোই কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। এই কারণে, চরমপন্থা বিশেষ করে ধর্মীয় চরমপন্থাকে ভালো বা মন্দ বলার আগে আমাদেরকে আগে এই বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। আমরা আক্ষরিক অর্থে ধর্মীয় চরমপন্থাকে পর্যালোচনা করে কিংবা এর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলোকে মূল্যায়ন করার মাধ্যমে এই বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি। আক্ষরিক অর্থে, ‘চরমপন্থা মানে হলো কোনো একটি বিষয়ের কেন্দ্রবিন্দু থেকে দূরে সরে গিয়ে একেবারে প্রান্তসীমায় অবস্থান করা।’ বাস্তবে চিন্তা করলে, ধর্ম, চিন্তাভাবনা বা আচরণের ক্ষেত্রে চরমপন্থা শব্দটি ব্যবহারও ভীষণরকম নেতিবাচক। চরমপন্থার কারণে বিপদের আশংকা বেড়ে যায় এবং নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়।
এই প্রেক্ষিতে, ইসলাম বরাবরই মধ্যমপন্থা এবং ভারসাম্য করার সুপারিশ করে। ইসলাম আমাদেরকে সকল কর্মকান্ডে বিশেষত ইবাদতে, ব্যবহারে, আচার-আচরণে কিংবা আইন প্রণয়নে মধ্যমপন্থা অবলম্বনের তাগিদ দেয়। আর আল্লাহ এই মধ্যমপন্থাকেই সিরাতুল মুস্তাকিম হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। আমরা সুরা ফাতিহাতে এই সিরাতুল মুস্তাকিম পাওয়ার জন্যই আল্লাহর কাছে আকুতি জানাই। কেননা, এই পথটিই নেয়ামতপ্রাপ্তদের পথ। বাকি যত পথ তার সবই আমাদেরকে বিপথগামী করবে। অভিশপ্ত রাস্তায় টেনে নিয়ে যাবে। মধ্যমপন্থা বা ভারসাম্য ইসলামের নিছক কোনো বৈশিষ্ট্য নয় বরং এটা ইসলামের মৌলিক অবস্থান। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, “এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলীর জন্যে এবং যাতে রসূল সাক্ষ্যদাতা হন তোমাদের জন্য।” (সুরা আল বাকারা: আয়াত ১৪৩)
মুসলিম উম্মাহ’র বৈশিষ্ট্যই হলো তারা আচরণগতভাবে ন্যায়নিষ্ঠ ও মধ্যমপন্থা অবলম্বনকারী হবে। এ সিরাতুল মুস্তাকিম থেকে কেউ যদি চুল পরিমাণও সরে যায় তাহলেও তা এক ধরনের বিচ্যুতি। কুরআন ও সুন্নাহ বারবার আমাদেরকে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করার এবং সব ধরনের প্রান্তিক ও চরমপন্থা মানসিকতা পরিহার করার তাগিদ দেয়। সীমালঙ্ঘন, ধর্মান্ধতা, কৃপণতা এবং কঠোরতার স্থান ইসলামে নেই। রাসুল সা. বলেন, “তোমরা ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না। তোমাদের পূর্বে অনেক জাতি এই বাড়াবাড়ির কারণেই ধ্বংস হয়ে গেছে। (আহমাদ)
এ হাদিসটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এর আগে বিভিন্ন আহলে কিতাব সম্প্রদায় বিশেষত ইহুদি ও খৃষ্টানেরা এ ধরনের জুলুম করেছে। আর এর পরিণতিতে তাদেরকে শাস্তিও ভোগ করতে হয়েছে। আল্লাহ বলেন, “বলুন : হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা নিজ ধর্ম নিয়ে অন্যায় বাড়াবাড়ি করো না এবং এতে ঐ সম্প্রদায়ের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, যারা পূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে। তারা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে।” (সুরা আল মায়েদাহ: আয়াত ৭৭)
এ কারণেই, যে ব্যক্তি নিজের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সেই চূড়ান্তভাবে স্বস্তিকর জীবন উপভোগ করতে পারে। উপরোক্ত হাদিস আমাদেরকে এ মর্মে শিক্ষা দিচ্ছে যে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘন আমাদেরকে এমন সব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে পারে যার ফলে পরিবেশ আরো বেশি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
বিদায় হজে¦র সময় রাসুল সা. মুজদালিফায় পৌঁছানোর পর ইবনে আব্বাস রা. কে কিছু পাথর সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে বলেন। ইবনে আব্বাস রা. কয়েকটি ছোট পাথর নিয়ে আসলেন। তখন নবিজি সা. বললেন, এই সাইজটি ঠিক আছে। এগুলো নিয়ে শয়তানকে প্রতীকি অর্থে আঘাত করা হবে। তাই এর চেয়ে বড়ো পাথরের প্রয়োজন নেই। ধর্মীয় কোনো আচারাদিতে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি না করাই উত্তম। (ইবনে মাজাহ: ৩০২৯, আহমাদ)
এই হাদিসটিতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, মুসলমানরা যেন এমনটা মনে না করে যে, বড় পাথর দিয়ে শয়তানের প্রতীকি অবস্থানে আঘাত করলেই সওয়াব বেশি হবে। এরকম চিন্তাধারা একবার তৈরি হয়ে গেলে তা জীবনের অন্যন্য কার্যক্রমকেও প্রভাবিত করতে পারে। ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, “বাড়াবাড়ি বা সীমালঙ্ঘন বিষয়ক ইসলামের নিষেধাজ্ঞা সব ধরনের বিশ্বাস, ঈমানের সব স্তর, ইবাদত এবং লেনদেনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।” অন্যদিকে, আল কুরআনে আল্লাহ বলেন, “হে আহলে-কিতাবগণ! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর শানে নিতান্তই সঙ্গত বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলো না।” (সুরা আন নিসা: আয়াত ১৭১)
নিজের কাজ করার সময় বা কথা বলার সময় কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন কাম্য নয়। এর ফলে দুনিয়া ও আখেরাত উভয়ই বরবাদ হতে পারে। রাসুল সা. আরো বলেন, তোমরা নিজেদের ওপর সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে নিও না।” একাধিক হাদিস থেকে জানা যায়, এক ব্যক্তি মাত্রাতিরিক্ত রোজা রাখতেন। আর এক ব্যক্তি জাগতিক কার্যক্রম বাদ দিয়ে মসজিদে বসে ইবাদত করতেন, দুটোর কোনোটাই রাসুল সা. পছন্দ করেননি। তিনি সবসময় ভারসাম্য করে চলার পক্ষে ছিলেন।
ইসলাম বেশ কিছু ইবাদতের পন্থা বলে দিয়েছে যার মাধ্যমে একজন মানুষ আধ্যাত্মিক ও বাস্তবিকভাবে, ব্যক্তিগতভাবে এবং সামষ্টিকভাবে নিজেদের উন্নত করতে পারে। ইসলাম এমনভাবে মানুষকে তার যাপিত জীবন পালন করার সুপারিশ করে যার মাধ্যমে সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সংহতি প্রতিষ্ঠা হয়। একইসঙ্গে সভ্যতা ও সমাজ বিনির্মাণে মুসলমানদের যে দায়িত্বও রয়েছে তাও সুষ্ঠুভাবে পালন করা সম্ভব হয়। মনে রাখতে হবে, সভ্যতা বিনির্মাণে এবং জ্ঞানের প্রভূত উন্নয়নে মুসলমানদের সম্পৃক্ত হওয়াকে অনেকটা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে। ইসলাম এমনভাবে ইবাদত পালন করার কথা বলে না যা করতে গিয়ে মানুষ তার পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উলটো মানুষের পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনগুলো যেন মজবুত হয়, এমনটাই ইসলাম প্রত্যাশা করে। পৃথিবিতে যা কিছুকে আল্লাহ হারাম করেছেন তা উপভোগ করার বিষয়ে আল্লাহ কোনো ধরনের বিধি নিষেধ আরোপ করেননি। বরং এগুলোকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত ও সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্যই ইসলাম সুপারিশ করে।
সাম্প্রতিক সময়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর দীর্ঘদিন কোণঠাসা হয়ে থাকা মুসলিম কর্মীদের জন্য প্রতিবন্ধকতাহীনভাবে কাজ করার অফুরন্ত একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইসলামিক যতগুলো দল আছে, গোষ্ঠী আছে, চিন্তাধারা আছে- সবগুলো একইসাথে নিজেদের বয়ান নিয়ে, কার্যক্রম নিয়ে সামনে আসছে। এমনটা অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু সমস্যা হলো, একসাথে এতগুলো গ্রুপ একসাথে কাজ করায় আপাত বাংলাদেশের এমন একটি ইমেজ তৈরি হচ্ছে যেন বাংলাদেশে ইসলামিস্ট ছাড়া আর কোনো শক্তি নেই কিংবা বাংলাদেশের সব মানুষ হয়তো হুট করেই একই চিন্তাধারা বিশেষ করে ইসলামী চিন্তাধারা লালন করতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা মোটেও এমনটা নয়। বাংলাদেশে একটি দলের শাসনের পতন হলেও মানুষের চিন্তাধারায় বা রাজনৈতিক দর্শনে আহামরি কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখানে এখনো নানামতের নানা পথের লোক বসবাস করে। কিন্তু হয়তো তারা পরিস্থিতির কারণে চুপ আছে অথবা পরোক্ষ কোনো ভূমিকা পালন করছে। এই বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করে পুরো বাংলাদেশের ইসলামিস্ট চিত্রায়ণটি বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশে^ও একটি নেতিবাচক ইমেজ দাঁড় করাচ্ছে। যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালাতে অভ্যস্ত তারা বাংলাদেশের এই একপেশে ইমেজ নিয়ে প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে। পশ্চিমা বিশে^ বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করার নানামুখী কার্যক্রম ও প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের মধ্যে বেশ কিছু গ্রুপ ক্যাম্পাসে বা নানা প্রতিষ্ঠানে কিংবা রাজপথে বিভিন্ন রংয়ের পতাকা ও সিম্বল নিয়ে মিটিং ও সমাবেশ করতে শুরু করেছে। জেনে করুক বা না জেনে, তারা এমন কিছু সিম্বল বা পতাকা ব্যবহার করছে যা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উগ্রবাদী প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। পশ্চিমাদের সব সংজ্ঞায়ন সঠিক নয়; এগুলো বিশ্বাস করারও প্রয়োজন নেই। তবে, অনেকেই ধারণা করছেন, বাংলাদেশের এই ক্রান্তিকালে হুট করে এ ধরনের সিম্বল বা প্রতীক নিয়ে মিছিল বা সমাবেশ আয়োজনের নেপথ্যে কোনো কুচক্রী মহলের কারসাজি থাকতে পারে। অনেকেরই আশংকা পতিত আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য প্রেক্ষাপট তৈরি করছে। এরই অংশ হিসেবেই তারা হয়তো এ ধরনের উগ্রবাদী সংগঠনগুলোকে উস্কানি দিয়ে মাঠে নামাতে পারে যাতে তারা বিশ^কে প্রমাণ করতে পারে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশে উগ্রপন্থার উত্থান ঘটতে পারে। একইসাথে, নিষিদ্ধ ঘোষিত বেশ কিছু সংগঠনেরও খবর পাওয়া যাচ্ছে যা আইনানুগ পন্থায় নিজেদের নিষিদ্ধ সংক্রান্ত আদেশটি প্রত্যাহারের চেষ্টা না করে বরং নিষিদ্ধ অবস্থাতেই কর্মসূচি পালন করছে, পোস্টার লাগাচ্ছে এমনকী মিডিয়ারও সামনে চলে আসছে। এই ধরনের হঠকারিতা দেশের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ বিরোধী মহল বিশেষ করে প্রতিবেশি দেশের মিডিয়াগুলো যে প্রচারণাটি শুরু করেছিল তাহলো বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে সংখ্যালঘু তথা হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে। এরপর সরকারের দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করায় এবং রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে ইসলামিক দলগুলো সংখ্যালঘুদের হেফাজতে এবং সংখ্যালঘু স্থাপনার নিরাপত্তায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার কারণে সেই অপপ্রচারে মাঝে কিছুদিন বিরতি হয়েছিল। এখন আবার তারা তৎপর হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন স্থানে মন্দির ভাঙা হচ্ছে বা মূর্তি ভাঙ্গা হচ্ছে তারা প্রোপাগান্ডা করছে। দুর্গাপূজো আয়োজনে বাধা দেওয়া হচ্ছে এরকম অভিযোগও হরহামেশাই তোলা হচ্ছে। এই নেতিবাচক প্রচারণা হালে আরো বেশি পানি পেয়েছে কারণ ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মুসুল্লীরা মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করছে। তারা সেখান থেকে দাবি তুলছে যাতে তাদের এলাকায় কোনো পূজা উৎসবের আয়োজন না করা হয়।
এরকম কোনো উদ্যোগ নেওয়ারও একটি প্রক্রিয়া আছে। যদি কোনো এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক সংখ্যা কম থাকে এবং তাদের আয়োজনে সমাজের অধিকাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ভিন্ন কোনো চিন্তা করা যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে আইনানুগ পন্থায় বা প্রশাসনের কাছে ধর্না দেওয়া কিংবা স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এসব পথে না গিয়ে প্রদর্শনের কর্মসূচিতে আমরা যেন বেশি আগ্রহবোধ করছি। কিন্তু দৃশ্যমান কর্মসূচিগুলো নিয়ে সুযোগসন্ধানীরা যে ফায়দা উঠাতে পারে কিংবা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের খোরাক পেতে পারে কিংবা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে- এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই বিবেচনায় থাকছে না।
ইসলাম কোনো হুটহাট কায়েম করার বিষয় নয়। ধারাবাহিক কৌশলই ইসলাম প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠার জন্য বেশি সহায়ক। ইসলাম একটি সার্বজনীন জীবন বিধান। অনুকূল এই সময়কে কাজে লাগিয়ে মানুষের কাছে ইসলামকে গ্রহণযোগ্যভাবে উপস্থাপন করা প্রয়োজন। ইসলামের প্রতি যেন মানুষের ভয় না জন্মায় বরং ইসলাম নিয়ে মানুষের মাঝে যেন ইতিবাচক জনমত তৈরি হয় তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যারা শিক্ষিত, সচেতন এবং যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেন এ ব্যাপারে তাদের দায়িত্ব একটু বেশি। যে কোনো কাজের সাময়িক লাভের চেয়ে পরিণামের বিষয়টি নিয়ে বেশি ভাবা প্রয়োজন। আমাদের কোনো কথা বা কর্মসূচিকে আমরা যেভাবে দেখি, প্রতিপক্ষরা স্বাভাবিকভাবেই সেভাবে দেখবে না। তাই তাদের হাতে যেন আমরা যেন কোনো সুযোগ তুলে না দেই, ইসলামকে নিয়ে বিতর্ক করার কোনো অবকাশ তৈরি না হয়- সেজন্য দায়িত্বশীল মহলে আরো বেশি সচেতনতা ও সক্রিয় তৎপরতা কাম্য।