বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারী জনাব নাজিম উদ্দীন মোল্লা বলেছেন, শহীদেরা আমাদের সম্পদ। তাদের আত্মত্যাগের উদ্দেশ্যকে ধারণ করেই আমাদের পথ চলতে হবে। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদেরকে চেপে বসা দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করেছেন। আমরা বিঃশ্বাস করি মহান রব শহীদদেরকে সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনেই অধিষ্ঠিত করবেন।
তিনি আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর রামপুরা দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করা শহীদদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ১৯-অক্টোবর ২০২৪ ইং রোজ শনিবার রামপুরা এলাকার এক মিলনায়তনে অনাড়ম্বর পরিবেশে ঢাকা মহানগরী উত্তরের রামপুরা দক্ষিণ থানার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারী জনাব নাজিম উদ্দিম মোল্লা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক থানা আমীর জনাব ইঞ্জি. এম. এ. রশীদ।
জনাব নাজিম উদ্দিন মোল্লা আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শহীদ ও আহত পরিবারের সাথে থাকাকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করে। যারা দেশের জন্য নিজেদের জীবন বিলীন করেছেন, তাদের জন্য আমাদের দায়িত্বের জায়গা থেকেই আজকের এ আয়োজন। যে কুরবানীর নজরানা তারা পেশ করে গেছেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাদেরকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন করবেন ইনশআল্লাহ। তারা আমাদের প্রেরণার উৎস। জাতীয় বীর। ফ্যাসিবাদমুক্ত, শোষণ জুলুম মুক্ত যে সমাজ ও দেশের স্বপ্নে শহীদেরা জীবন দান করেছেন তাদের সেই স্বপ্নকে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। শহীদদের পরিবারগুলো ধন্য। আল্লাহ তার পছন্দের বান্দাহকেই শহীদ হিসেবে বাছাই করেন। আমরা এ আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে সাধ্যমত তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ। শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই আল্লাহ এই জমিনকে তার দ্বীনের কথা বলার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এই উন্মুক্ত পরিবেশে আমরা যথাযথ ভূমিকা রাখার মাধ্যমে শহীদদেরকে আমাদের স্বরণ থেকে মুছে যেতে দেবনা। তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সর্বোচ্চ দায়িত্ববান থাকব। শহীদদের রেখে যাওয়া এই জমিনে ইসলামী ন্যায়নীতি ও ইনসাফের সুফল দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। এরপর তিনি শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে বরাদ্দকৃত আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন।
রামপুরা দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে থানা সেক্রেটারি এডভোকেট খালেদ সাইফুল্লাহ তারেকের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, রামপুরা দক্ষিণ থানার কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
প্রোগ্রামে শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ কান্না বিজড়িত কন্ঠে শহীদদের স্মৃতিচারণ করেন। এসময় পুরো হলরুম জুড়ে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরী হয়।