আগস্ট বিপ্লবকে অর্থবহ ও মজবুত ভিত্তি দিতে এবং একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জ্ঞান ও বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ গঠনে পাঠাগার অদ্বিতীয় ও অন্যতম মাধ্যম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর ও নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি আজ রাজধানীর ভাষানটেক থানায় বিআরপি ইসলামী পাঠাগার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিআরপি জনকল্যাণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ডা. আহসান হাবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তাসলিম, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ,জোন টিম সদস্য আলাউদ্দিন মোল্লা,ভাষানটেক থানা সেক্রেটারী আলী হোসাইন প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী শক্তির পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশের আকাশকে কালো মেঘমুক্ত করেছে ছাত্র-জনতা। আমরা আগামী দিনেও যেকোন জালিমের মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত। আর আমরা এই ঐতিহাসিক বিজয়কে কোন ভাবেই ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। তাই আমাদেরকে এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ,গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বৈরাচার সৃষ্ট সকল জঞ্জালমুক্ত করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। সবার আগে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। এজন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কোন বিকল্প নেই। এই ঐক্যের মানদন্ড হবে কুরআন ও সুন্নাহর আদর্শ। মানবরচিত মতবাদ কখনো মানুষের জন্য কল্যাণকর হয় না। তাই দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসন মুক্ত করতে কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প। তিনি দেশে কুরআনের রাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, আগস্ট বিপ্লবের বিজয়কে ব্যর্থ করার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলছে। তাই এই বিপ্লবকে ধরে রাখার জন্য সকলকে অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। কেউ শান্তি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে করলে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা দেশ, দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় এবং দেশের ১৮কোটি মানুষের সন্মান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধ পরিকর। স্বৈরাচারি শক্তি ও তাদের প্রতিভূদের ক্ষেত্রে কোন প্রকার দুর্বলতা প্রদর্শের সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে পাঠাগার ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে পারে। ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সকলেই এই পাঠাগারের পাঠক হবেন এবং তারা আত্মগঠন ও দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল প্রকার অপশক্তির ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে শপথ গ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে পাঠাগার হবে মাইল ফলক। তিনি জ্ঞানভিত্তিক আলোকিত সমাজ গঠনের সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।