বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয়া বিশ্বইতিহাসে নজীরবিহীন। কিন্তু আমরা ভাষা শহীদদের স্বপ্নপূরণে পুরোপুরি সফল হইনি। এমনকি ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস আজও জাতির কাছে অজানাই রয়ে গেছে। তাই নতুন প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যই আমরা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস ও ভাষা শহীদদের স্বরণে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে অনলাইন ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিত অংশ গ্রহণের আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ভাষা শহীদদের স্মরণে অনলাইনভিত্তিক ‘কুইজ প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধনকালে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম, শিবিরের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি জামিল, জামায়াত নেতা আব্দুল কাইয়ুম ও জাকির হোসেন প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল তমদ্দুন মজলিসের ব্যানারে। আর এই তমদ্দুন মজলিসের নেতৃত্বে দেশের আপামর ইসলামপ্রিয় তৌহিদী জনতা তাদের তাহযিব-তামুদ্দন ও মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্যই এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের অগ্রনায়ক ছিলেন অধ্যাপক গোলাম আযম। ডাকসুর তৎকালীন জিএস হিসেবে তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে তৎকালীন সরকারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ক্ষমতাসীনদের হীন্যমন্যতা, বিভাজন ও প্রতিহিংসা পরায়ণতার কারণেই মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযমকে ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। এমনকি প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির কারণেই ডাকসুর জিএসের নামফলক থেকে ভাষা আন্দোলনের এই বীর সেনানীর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। তিনি সরকারকে হীন্যমন্যতা পরিহার করে অধ্যাপক গোলাম আযম সহ প্রকৃত ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের আহবান জানান।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলনের জোড়ালো ভিত্তি দিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের দায়িত্বহীনতা ও নেতিবাচক রাজনীতির কারণে অর্জিত স্বাধীনতা পুরোপুরি অর্থবহ হয়ে ওঠেনি বরং তাদের উপর্যুপরি ব্যর্থতার কারণেই দেশের মানুষ আজ অধিকার বঞ্চিত। সরকার দেশে সুশাসন উপহার দিতে পারেনি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া সরকারে দায়িত্ব হলেও তারাই পরিকল্পিতভাবে জননিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই জনপ্রিয় জাতীয় নেতাদের একের পর এক হত্যা ও কারারুদ্ধ করে রেখেছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী সরকার জনসমর্থন আদায় করতে পারিনি, এ সরকারেরও হবে না। তিনি সরকারকে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে সুস্থ্যধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহবান জানান। অন্যথায় ইতিহাস কাউকে ক্ষমতা করবে না।
২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস উপলক্ষে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা ২০১৮
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিয়মাবলী-
# প্রতিযোগিতায় যেকোনো বয়সের ও সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারবে।
# প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে সরাসরি https://goo.gl/forms/NZI66GGI5A76nK8w1 এই লিংকে ভিজিট করুন।
# প্রতিযোগিতা ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং সকাল ১০টা থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং সকাল ১০টা পর্যন্ত চলবে।
# একজন প্রতিযোগী কেবলমাত্র একবারই অংশগ্রহণ করতে পারবে।
# সর্বাধিক সঠিক উত্তর দাতাদের মধ্য থেকে লটারীর মাধ্যমে পুরস্কারের জন্য বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে।
# যেকোনো বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
১ম পুরস্কারঃ নগদ ১০,০০০/- টাকা
২য় পুরস্কারঃ নগদ ৮,০০০/- টাকা
৩য় পুরস্কারঃ নগদ ৬,০০০/- টাকা
এছাড়াও ৫ জনকে আকর্ষনীয় বিশেষ পুরস্কার দেয়া হবে।
আমাদের সাথেই থাকুন ।
চোখ রাখুন আমাদের ওয়েব সাইটঃ www.jamaatdhakacitynorth.org অথবা
ফেসবুক অফিসিয়াল পেজঃ facebook.com/bji.dcn