বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম বলেছেন, সারাদেশে শীতের তীব্রতা বাড়লেও সরকার দুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই তারা জনগণের কল্যাণে কাজ না করে তাদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মূলত এই ফ্যাসীবাদী ও জুলুমবাজ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনদুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না। তিনি শীতার্ত ও সমাজের দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসতে সরকার, দাতাসংস্থা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের বিত্তবান মানুষের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানার উদ্যোগে শীতার্ত ও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি আব্দুল ওয়াজেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আয়েত আলী, নাজমুল হোসাইন, আব্দুর রশীদ, মাওলানা নাসির হোসেন ও থানা শিবির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ।
ড. এম আর করিম বলেন, গণমানুষের জাগতিক কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির উদ্দেশ্যেই জামায়াতে ইসলামীর পথ চলা শুরু হয়েছিল। তাই প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই জামায়াতে ইসলামী আর্ত-মানবতার সেবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর গণমানুষের জন্য আমাদের এই কল্যাণকামীতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে ইনশা আল্লাহ। সে ধারাবাহিকতায় আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে দুর্গত ও শীতার্ত মানুষের দুর্দশা লাগবে এগিয়ে এসেছি। যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্ত অপ্রতুল। মূলত ন্যায়-ইনসাফের সমাজ ও সম্পদের সুসম বন্টনের অভাবেই মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই ব্যবধান দূর করতে হলে সৎলোকের শাসন ও ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, মূলত গণমানুষের সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু আমাদের দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় দেশের মানুষ রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে অনেক ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হচ্ছেন। কারণ, আমাদের দেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থা এখনও কল্যাণমুখী হয়ে ওঠেনি। সরকার যদি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথায়থভাবে পালন করতো তাহলে দুর্গত মানুষদের লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়াতে হতো না। তাই গণমানুষের সার্বিক সমস্যার সমাধান করতে হলে দেশকে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার কোন বিকল্প নেই। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহবান জানান।