ঢাকা কলেজের আট ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়েছে শিক্ষার্থী ও প্রশাসন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রামদা, হকিস্টিক, স্ট্যাম্প, লাঠি, পিভিসি পাইপ, রড, হেলমেট এবং ৩০টি ব্র্যান্ডের মদের বোতলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। শনিবার এ অভিযান চালানো হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ অভিযানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রুমগুলোতে বেশি গুরুত্ব দেয়। তালা ভেঙে বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে তল্লাশি করেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার সমন্বয়ক মুঈনুল ইসলাম জানান, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাদের কক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রের সন্ধান পেয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে কলেজ প্রশাসনও উদ্বিগ্ন। সেজন্য সাধারণ শিক্ষার্থী এবং মিডিয়ার উপস্থিতিতে অভিযান চালানো হয়। অস্ত্র উদ্ধারের পর সব একসঙ্গে রাখা হয় নর্থ হলের সামনে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হামলে পরে ছাত্র-জনতার ওপর। শিক্ষকদের যোগসাজশে সেসব অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য হল থেকে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে কলেজ প্রশাসন। পরে মেধা ও চাহিদার ভিত্তিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হলের সিট বণ্টন করা হবে। বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের বিষয়ে দক্ষিণ ছাত্রাবাসের হল প্রভোস্ট আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিগত দিনে স্বৈরশাসনের আমলে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে অবস্থা ঢাকা কলেজ এর বাহিরে নয়। আমরা বারবার অধ্যক্ষকে বলেছি কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি। কখনো কোনো অভিযানের ব্যবস্থা করেননি। নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।