বলা হচ্ছে, সবকিছু মানুষের জন্যই করা হচ্ছে। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, মানুষ যেন দ্রুতই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, জীবনযাত্রা যেন স্বাভাবিক হয়-এ জন্যই সব আয়োজন। কিন্তু যে সাধারণ মানুষকে নিয়ে এত কান্ড, এত বিপুল কার্যক্রম বা এত এত আলোচনা প্রকৃতপক্ষে তারা এই সময়ে কেমন আছে? কেমন থাকতে পারছে? রাস্তায় বের হলে গাড়ি, ব্যস্ততা, যানজট সবই দেখা যায়। কিন্তু কারো মুখে হাসি আর দেখা যায় না। বাংলাদেশের মানুষের যে সহজাত বৈশিষ্ট্য, প্রাণখোলা হাসি আর প্রাণবন্ত আড্ডা দুটোই যেন এখন হারিয়ে গিয়েছে।
কেউ কারো সাথে কথা বলে না। অপরের সাথে ভাবনা শেয়ার করে না। বাসের ভেতর বা চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্ক-বির্তক বা আলাপও হয় না। কেমন যেন স্তব্ধ হয়ে আছে সবকিছু। মুখ দেখলে বোঝা যায়, অনেক কিছু বলতে চায়, অনেক কিছু শোনাতে চায়, হয়তো চিৎকার করে কাঁদতেও চায়। কিন্তু কিছুই যেন করা হয়ে ওঠে না। চেপে থাকতে থাকতে বুক ভার হয়ে আসছে যেন সবার।
যাত্রাপথে মানুষের ভোগান্তি কয়েকগুণ বেড়েছে। অফিস দিনগুলো তো বটেই, বন্ধের দিনেও শহরজুড়ে তীব্র যানজট। আধাঘন্টার পথ যেতে আড়াই তিন ঘন্টাও লেগে যাচ্ছে। গতকাল বের হয়ে নিজেরও সেই অভিজ্ঞতাই হলো। প্রচন্ড গরম আবার যানজট- দুয়ে মিলে মানুষের যেন নাভিশ^াস উঠে যাচ্ছে। মানুষকে এরপরও বের হতে হয়। বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হয়। এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ যেহেতু দিনে আনে দিনে খায়, তাই একদিন না বের হলে তাদের ঘরের চুলোয় রান্না হয় না। এ কারণে হয়তো এত বেশি মানুষ রাস্তায়। কিন্তু বের হয়েও কি তারা নিতে পারছে স্বস্তির নিঃশ^াস?
খুব কম মানুষ বা পরিবার আছে যারা চলমান ঘটনাপ্রবাহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এই ক্ষতি নানাভাবেই হয়েছে। ক্ষতির হিসেব এত বেশি যা একটি কলামে তুলে ধরাও কঠিন। তবে সরাসরি যারা আপনজন হারিয়েছেন, তাদের বাইরেও যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষ তারাও এবার নানামুখী ক্ষতি ও সংকটের মুখে পড়েছে। বিশেষ করে, আর্থিকভাবে মানুষ যে পরিমাণ চাপে পড়েছে তা নজিরবিহীন। গত সপ্তাহে রেমিট্যান্স তেমন আসেনি বললেই চলে। অথচ, অনেক পরিবার টিকেই আছে রেমিট্যান্সের ওপর। তাই প্রবাসে থাকা আত্মীয়-স্বজন টাকা না পাঠালে তারা কিছুই করতে পারে না। শপিং মল বা দোকানপাট খুবই সীমিত পরিসরে খুলেছে। কার্ফু চলমান থাকায় শহরের বড়ো বড়ো শপিং মলগুলো কেবলমাত্র কার্ফু শিথিল থাকা অবস্থাতেই খোলা থাকছে। আর শিথিলের সময়টায় সবাই যেহেতু জরুরি অন্যান্য কাজগুলো করার চেষ্টা করছে; তাই তারা মার্কেটে বা শপিংয়ে যেতে পারছে না। ফলে, শপিংমলগুলোতে ভীড় নেই। ক্রেতাশূন্য অবস্থায় দোকান খুলেও লোকসান গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা বা বিশ^বিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বছরের মাঝামাঝি সময়, অনেক স্কুলে হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা হয়েছে, অনেকগুলোতে চলমান ছিল। সব থেমে আছে। ক্লাস না হলে বছরের নির্ধারিত সিলেবাস শেষ করা নিয়ে শিক্ষকদের পেরেশানি দৃশ্যমান। ঢাকা শহরের বেশিরভাগ ছোটখাটো স্কুল ভাড়া করা ভবনে পরিচালিত হয়। যদি স্কুল বন্ধ থাকে আর অভিভাবকেরা বেতন না দেয় তাহলে পরের মাসে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন প্রদান বা স্কুল ভবনের ভাড়া দেওয়াও কঠিন হয়ে যাবে। এতে করে নতুন করে আরো কিছু মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। এইচএসসি পরীক্ষা জুলাই মাসের বাকি দিনগুলোতে যে কয়েকটি ছিল সবগুলোই স্থগিত করা হয়েছে। এত বড়ো পাবলিক এক্সাম এভাবে স্থগিত করলে এর বহুমুখী প্রভাব পড়ার কথা এবং বাস্তবেও তাই হয়েছে। আর যেহেতু এইচএসসি পরীক্ষাই এ মাসে আর হচ্ছে না, তাই এ মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও আর খুলবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।
সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট থাকায় অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসাগুলো বড়ো ধরনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেদিন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সাথে কথা হচ্ছিল। তিনি মূলত অনলাইনে গৃহস্থালি সামগ্রী বিক্রি করেন। ফেসবুক না থাকায় তিনি মার্কেটিং বা কেনাবেচা কিছুই করতে পারছেন না। একদম পরিচিত যেসব কাস্টমার তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে তিনি কিছু পণ্য বিক্রির চেষ্টা করেও তেমন একটা সাড়া পাননি। আমার কাছে এসব কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন। ট্রাভেল এজেন্সী এবং হজ¦ উমরার ব্যবসা যারা করেন, যারা হজে¦র পর প্রথম উমরাহ সফরে যাওয়ার জন্য আগষ্ট মাসে আগাম টিকেট কিনে রেখেছিলেন, তারা এখন যাত্রী খুঁজে পাচ্ছেন না। অনলাইনে প্রচার করতে না পারায় মানুষের কাছে তারা পৌঁছতেও পারছেন না। আর যারাও বা দেশের বাইরে বা উমরাহ করতে ইচ্ছুক ছিলেন, মন-মানসিকতা খারাপ থাকায় তারাও আর যেতে চাইছেন না। ট্রাভেল এজেন্টরা লোকসান দিয়ে বা প্যাকেজের দাম কমিয়েও যাত্রী পাচ্ছেন না। এতে করে এই ব্যবসাতেও বড়ো ধরনের ধ্বস নামার আশংকা দেখা দিয়েছে।
হাসপাতালগুলোতে যারা আছেন তারাও আছেন বড়ো ধরনের সংকটে। একদিকে যারা আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের আহাজারি ও করুণ আর্তনাদ। অন্যদিকে, যারা সাধারণভাবে চিকিৎসা নিতে এসেছেন, তারাও নানা ধরনের জটিলতার মধ্যে পড়েছেন। ওষুধ বা খাবার জোগাড় করতে গিয়েও তারা সংকটে পড়ছেন। কার্ফু সন্ধ্যার পর চলমান থাকায় রোগীর কাছে আসা যাওয়া করতেও অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নিজের অভিজ্ঞতার কথাই বলি। একজন পরিচিত ব্যক্তি মারা গেলেন শনিবার বিকেলে। তারা জানাযার সময় নির্ধারণ করা হলো এশার নামাযের পর। এটুকু সময় প্রস্তুতির জন্য নিহতের পরিবারের আসলে প্রয়োজনও ছিল। কিন্তু এশার সময় গিয়ে দেখা গেলো, জানাযায় প্রত্যাশিত লোক সমাগম হয়নি। রাতের বেলায় যাওয়ার পথে কী পরিস্থিতি হয় বা ফেরার সময় কোন ধরনের ভোগান্তি সহ্য করতে হয় তা নিয়েও ব্যাপক আশংকা থাকায় অনেকে জানাযায় বা দাফনে যেতে সাহস পাননি।
বেশ কিছু পরিবারে বিয়ে-শাদির আয়োজন নির্ধারিত ছিল। এসব প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকার বাইরে বা দেশের বাইরে থেকেও লোকজন এসেছিলেন। তাদের ফেরার সময় চলে এসেছে অথচ এরকম আয়োজন করার মতো কোনো পরিবেশ এখনো তৈরি হচ্ছে না। যে ভেন্যুগুলো নির্ধারণ করা হয়েছিল, তারা সার্বিক পরিস্থিতি বোঝার পরও ব্যবসায়িক লোকসান থেকে বাঁচার জন্য বুকিংকারীদের কাছ থেকে কিছু টাকা কেটে রাখতে চাইছে। অর্থাৎ অনুষ্ঠান না হলেও টাকা গুণতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট আয়োজকদের।
ভোগান্তির চরম অমানবিক চিত্র দেখা যাচ্ছে আদালত পাড়ায় ও হাসপাতালগুলোতে। যারা আপনজনদের হদিস খুঁজে পাচ্ছেন না, এখানে ওখানে ছুটোছুটিতেই তাদের এখন সময় কাটছে। কখন কোথায় কাকে আনা হবে বা পাওয়া যাবে সে অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা কাটাচ্ছেন স্বজনেরা। মানুষের এ করুণ মুখ খুব অল্প পরিসরে যেটুকু প্রকাশ্যে আসছে তাতেই যেন আমরা অসহনীয় কষ্ট অনুভব করছি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোকে অন্ধকারে না রেখে বরং বস্তুনিষ্ঠ তথ্য জানিয়ে দিলে ভোগান্তির মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব ছিল।
সাধারণ মানুষ যারা একেবারেই অরাজনৈতিক জীবন যাপন করেন, তাদের মনোবেদনাটিও মাঝে মাঝে যেন সামনে চলে আসে। গত শুক্রবারে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকেই সকল মসজিদে সাম্প্রতিক আন্দোলনে নিহতদের জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সব মসজিদেই এই দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আমি সাধারণ মুসুল্লীদের যেভাবে কাঁদতে দেখেছি তা আমার হৃদয়কে নাড়িয়েছে ষোলআনাই। একজন বলছিলেন, ‘কারো যদি সন্তান চলে যায়, আর বাসাবাড়িতে বা অফিসে অন্য সব সম্পদ বহাল তবিয়তে থাকে, তারপরও তার আসলে কিছুই নেই।’ এই মন্তব্যের নেপথ্যে যে কান্না আর আহাজারি তা যেকোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষকে আবেগতাড়িত করবেই।
সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে কঠিন হয়ে যাচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি। চলমান আন্দোলনের প্রভাবেই যে দাম বেড়েছে তা নয়। বাংলাদেশে সব খাদ্যসামগ্রীর বিগত কয়েক বছর ধরেই আকাশ ছোঁয়া। বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী বেশিরভাগ খাদ্যদ্রব্যের মূল্য এক বছরের ব্যবধানে পুরোপুরি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। মাছ, গোশত, সবজি, চাল, ডাল বা চিনিসহ কোনো একটি খাবারও নেই যার দাম এখন সহনীয় অবস্থানে রয়েছে। গতকাল দোকানে পেঁয়াজের দাম জানতে চাইলাম, বললো ১৩০ টাকা কেজি। নিজের কানকেই যেন বিশ^াস করতে পারছিলাম না। মরিচের দাম তো আগে থেকেই ৪শ’ টাকা। যে মাছগুলো স্বল্প আয়ের মানুষগুলো একটু কিনে খাওয়ার কথা ভাবতো, গেল সপ্তাহে তার দামও দেড়গুণ বেড়েছে। কিছু না কিনে শুধু যে ডিম খেয়ে থাকবেন সে উপায়ও নেই। ডিমের দামও এখন অনেক বেশি। ডজন ১৭০ টাকা।
প্রশ্ন হলো, মানুষ আসলে বাঁচবে কী করে? একটি দিক থেকেও যদি অন্তত স্বস্তির কোনো সুবাতাস পাওয়া যেত, তাহলেও মানুষ যেন দম নেওয়ার সুযোগ পেতো। রাজপথে যানজট কবে কমবে কেউ জানে না। মেট্রোরেল খোলার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। টাকার অভাবে মগবাজারের পর থেকে যাত্রাবাড়ী অভিমুখে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ বন্ধ হয়ে আছে কয়েক মাস ধরে। পুরো দেশের সাথে রাজধানীর রেল যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন। রেল যাতায়াত কবে শুরু হবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফলে মানুষ যে যার জায়গায় আঁটকা পড়ে আছে এবং যাবতীয় চাপ এসে পড়েছে শহরের রাস্তায়।
সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান নাগরিক পরিষেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। সেদিন পত্রিকায় ছবি দেখলাম, পরবর্তীতে টিভিতেও দেখলাম, রাজধানীর মিরপুরের মূল সড়কের বড়ো একটি অংশ ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন থেকে কেউ এসে ময়লা না নিয়ে যাওয়ায় নাগরিকেরা মেইনরোডেই এনে ময়লা ফেলছে এবং ময়লাগুলো সেখানেই থেকে যাচ্ছে। দুর্গন্ধে শুধু মিরপুরবাসীই নয়, বরং শহরের ব্যস্ততম এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষগুলো ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। মেইনরোডে ময়লা থাকায় রাস্তার একটি অংশ ব্লক হয়ে যাওয়ায় যানজটও বেড়েছে। ফলে, বাসে বা গণপরিবহনে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরকে লম্বা সময় বসে বসে সেই দুর্গন্ধ সহ্য করতে হচ্ছে।
বিদ্যুতের লোডশেডিং বহাল আছে অথচ প্রিপেইড গ্রাহকদের যে ভোগান্তি তা কোনোভাবেই কমছে না। মোবাইল ডাটা পুরোদমে চালু না হওয়ায় এ্যাপসভিত্তিক বিল পরিশোধ ও লেনদেন কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। টেলিভিশনের স্যাটেলাইটের বিলসহ অন্যান্য অনেক সার্ভিসের বিল পরিশোধের নানা উপায় বাতলে দেওয়া হলেও সেগুলো মানুষের কাছে খুব একটা পরিচিত না হওয়ায় মানুষ এ পথে সাড়া দিচ্ছে না। সবচেয়ে বড়ো কথা, প্রবাসে যেসব পরিবারের সদস্যরা থাকেন, তারা দেশের পরিস্থিতিতে মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। তারা যে আপনজনের খোঁজ খবর নিবেন, তাও সম্ভব হচ্ছে না। সীমিত পর্যায়ে নেট চালু হলেও অনেকগুলো এ্যাপস এখনো চালু না হওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়ে আছে।
শুরুতে যেমনটা বলেছিলাম, সবকিছুই নাকি করা হচ্ছে মানুষের জন্যই এবং মানুষকে স্বস্তিতে রাখার জন্যই। কিন্তু যেভাবে সবকিছু চলছে তাতে স্বস্তি তো দূরের কথা, আদৌ কি মানুষ বেঁচে থাকতে পারছে? উন্নত জীবনযাত্রা এখন আমাদের জন্য অলীক কল্পনা। যে জীবনমানে কয়েক বছর আগেও আমরা ছিলাম, সেই মানে টিকে থাকাই এখন অধিকাংশ পরিবারগুলোর জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হয় তা জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে সবাইকে। নাগরিক পরিষেবা নামক বিষয়টিও আমাদের জন্য কেবলই শব্দবাণ ছাড়া আর কিছুই নয়।
মানুষের মূল্য এ দেশে প্রতিষ্ঠিত হোক। সবকিছুর চেয়ে মানুষের জীবন বড়ো এ ধারণা ও চেতনা আমাদের বিদ্যমান কাঠামোগুলোতে নির্ধারিত হোক। সাধারণ হোক বা লো প্রোফাইল হোক, সবাই মানুষ আর সবাইকেই খেয়ে পরে বাঁচতে হয়। তাই উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবন কিংবা উন্নত বিশে^র সাথে তাল মেলানো কোনো জীবনধারা নয়; বরং মানুষ হিসেবে আমরা যেন আমাদের ন্যূনতম চাহিদাগুলো পূরণ করে নিরাপত্তার সাথে জীবন কাটিয়ে দিতে পারি, আমাদের সন্তানেরা যেন নিরাপদে আমাদের বুকে থাকে, ভালো থাকে, জীবন্ত থাকে- আমাদের প্রত্যাশা এখন এটুকুই।