খুবই কর্মতৎপর সময় অতিবাহিত করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর ও আসন্ন ডিএনসিসি নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত মেয়র প্রার্থী মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি বিরামহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তার নির্বাচনী কর্মতৎপরতা, মতবিনিময় সভা ও গণসংযোগ। তিনি তার নির্বাচনী কর্মযজ্ঞের অংশ হিসেবেই আজ নগরীর পল্লবীতে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। নির্বাচকরা তাকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করলে তিনি ডিএনসিসির সার্বিক উন্নয়ন ও সম্ভবনাগুলো কাজে লাগাতে তার মেধা, শ্রম ও সময় কোরবানী করার এবং বৈশ্বিক নগরায়ণের সাথে সঙ্গতি রেখে জনকল্যাণমূলক নগর ব্যবস্থা, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসেবার খাতগুলোকে পরিশীলিত ও সম্প্রসারণ করে নগর স্বাস্থ্য উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, পল্লবী থানা আমীর আশরাফুল আলম, জামায়াত নেতা শাহজাহান দেওয়ান, পাপ্পু, মফিজুর রহমান, মশিউর রহমান ও দুলাল হোসেন প্রমূখ।
মতবিনিময় সভায় মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, জীবিকার তাগিদেই মানুষের জীবন হয়ে ওঠেছে নগর কেন্দ্রীক। একটি অভিজাত, উন্নত ও সুন্দর জীবনের প্রত্যাশায় মানুষের নগর জীবনের সূচনা হয়। উন্নত ও সুন্দর জীবনের জন্য সবার আগে প্রয়োজন নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্পন্ন নগর ব্যবস্থাপনা। কিন্তু প্রায় ৪ শ বছরের পুরনো ঢাকা নগরী এখন স্বাস্থ্যসম্মত নগরীতে পরিণত করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য সেবার মান খুবই নিম্নমানের। ক্রমবর্ধমান মশার উপদ্রপ নগরবাসীর অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যার একটি। কিন্তু জনগণের স্বাস্থ্য সেবার দিকে খেয়াল রেখে কর্তৃপক্ষকে মশক নিধনে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে দেখা যায় নি। এমনকি মশকের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূল করা হয়নি। মাঝে মাঝে নগরীতে মশক নিধনে ফগার কার্যক্রম লক্ষ্য করা গেলেও তা মোটেই মানসম্পন্ন নয় বরং একেবারেই দায়সারা গোছের। মূলত মশকবাহিত জীবানু সংক্রামক ব্যধির অন্যতম কারণ। কিন্তু ডিএনসিসি বিষয়টি নিয়ে খুবই উদাসীন। তিনি নির্বাচিত হলে ডিএনসিসিকে মশকমুক্ত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ^াস দেন এবং মশকের উৎস সব ড্রেন, নালা ও মশা উৎপাদিত হয় এমন জায়গাগুলোতে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে বলেও অঙ্গীকার করেন।
তিনি বলেন, নগর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকী হচ্ছে ফরমালিনযুক্ত খাবার। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় বিভিন্ন ধরণের ফলমূল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যে অসহনীয় মাত্রায় ফরমালিন নামীয় এক প্রকার বিষ মিশ্রণ করে। যা থেকে প্রাণঘাতি ক্যান্সার, অগ্নাশয়ের সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরণের জটিল রোগ দেখা দেয়। যা নগরবাসীর জন্য মারাত্মক উদ্বেগজনক। অতীতে ফরমালিন নিয়ে অনেক কথা বলা হলেও ডিএনসিসি খাদ্যে এই প্রাণঘাতি বিষ নিয়ন্ত্রণে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এবং এসব অপকর্মের সাথে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়নি। তাই বিষয়টি এখন অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। নগরবাসী তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে খাদ্যে ফরমালিন মিশ্রণ নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির অধীনে নিরীক্ষা টিম গঠন করে ফরমালিন সনাক্তকরণ ও দায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেন।