কুমিল্লা জেলাসহ ওই অঞ্চলের অনেক জেলা থেকে চামড়াবাহী কোনো যানবাহন ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। সোমবার বিকাল
থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা থেকে ঢাকামুখী চামড়াবাহী অন্তত ১৫০ ট্রাক-পিকআপ ফিরিয়ে দেয়া হয়।
ঢাকায় একসঙ্গে চামড়া প্রবেশ করিয়ে যাতে পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি না হয়, সে জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে নজরদারি করে এসব গাড়ি আটক করে ফিরিয়ে দেয়। যেখান থেকে চামড়াগুলো আনা হয়েছে, সেখানে ফিরিয়ে নিয়ে তাদের স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পক্ষে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজায় ওই কার্যক্রম নজরদারি করছেন দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিয়াউর রহমান ও চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৌম্য চৌধুরী।
মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ঈদুল আজহার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় অন্তত চামড়াবাহী ১৫০টি ট্রাক ও পিকআপ আটক করা হয়। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চামড়া নিয়ে যানবাহনগুলো ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পরে তাদের স্ব স্ব এলাকায় ফেরত পাঠানো হয়। নির্দেশনা আছে, চামড়ার পচন রোধে বাইরের জেলা থেকে আগামী ১০ দিন ঢাকায় কোরবানির পশুর চামড়া ঢোকানো যাবে না।
ঈদুল আজহার প্রস্তুতি সংক্রান্ত সভায় কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়, দেশের সব প্রান্ত থেকে ঢাকায় একসঙ্গে চামড়া আসলে পচে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই ঈদ-পরবর্তী ন্যূনতম ১০ দিন কোনো চামড়া ঢাকায় ঢুকতে দেয়া যাবে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে নজরদারি করে চামড়াবাহী গাড়ি ফেরত পাঠাচ্ছে।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক তারা চামড়ার ট্রাক ঢাকায় ঢুকতে দিচ্ছেন না। যাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে, তাদের স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণ করতে বলা হচ্ছে। বিসিকের কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত লবণ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।