বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মিরপুর উত্তর থানার প্রবীণ সদস্য ( রুকন) ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাসেম গত ২৮ জুন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন-ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভূগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও দ্বীনের দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠাবান, সংগঠনের প্রতি আনুগত্যশীল এবং সদা কর্মতৎপর ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ী চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার গকুলখালী গ্রামে। মরহুম কর্মজীবনে বিটিসিএল কর্তকর্তা ছিলেন। উল্লেখ্য, মরহুম ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাসেম বিপত্নীক ছিলেন। করোনা মহামারীতে তার স্ত্রী ইন্তিকাল করেন।
মরহুমের নামাজে জানাজা আজ বাদ জোহর মিরপুরের রাইন খোলা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য মনিরুল ইসলাম মৃধা, লিয়াকত আলী,হেকিম আব্দুল মান্নান,রফিকুল ইসলাম রিমনসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও মরহুমের আত্মীয়স্বজনরা জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন।
ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাসেমের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এক শোকবাণীতে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, মরহুম ইঞ্জিয়ার আবুল কাসেম ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের সম্মূখযোদ্ধা। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠায় কাজে সব সময় ছিলেন আপোষহীন এবং অবিভাবক তুল্য। মরহুম জীবন সায়াহ্নে এসেও দ্বীনি কাজে খুবই কর্মতৎপর ছিলেন। তিনি দেশকে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখতেন এবং সে লক্ষ্যে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সে লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। সর্বোপরি তিনি অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠার ও যোগ্যতার সাথে সফলভাবে তার কর্মজীবন শেষ করেছেন। তার মৃত্যুতে আমরা একজন আদর্শ অবিভাবককে হারালাম। নেতৃদ্বয় মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে তাকে জান্নাতের আ’লা মাকাম দানের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া করেন। তারা তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের সবরে জামিল ধারণের তাওফিক কামনা করেন।