দুই বছরের শিশু রাজ। এখনো স্পষ্ট কথা বলা শিখেনি। ঘুম ভেঙে চোখ মুছতে মুছতেই খুঁজতে থাকে স্মার্টফোন। না পেলে রাজ্যের অভিমান ভর করে।
বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকে। রাজের মুখের কাছে খাবার নিলেই মোবাইলের বায়না ধরে। হাতে মোবাইল ছাড়া খেতে চায় না। হাজার চেষ্টাতেও ঘুম পাড়ানো যায় না তাকে। মোবাইল পেলেই চলে যায় ইউটিউবে। রাত-দিন বুঁদ হয়ে থাকে কার্টুনসহ বিভিন্ন ভিডিও দেখায়। হাত থেকে মোবাইল নিলেই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে।
অন্য কোনো খেলনা হাতে দিলে ছুড়ে মারে। অনেক বুঝিয়েও শিশুটির কান্না থামাতে পারে না বাবা-মা। রাজের মা সুমাইয়া আক্তার বলেন, রাজ খুব ছোটবেলায় অন্য খেলনাগুলো নিয়ে খেলতো। যখন একটু বুঝতে শিখেছে তখন থেকে মোবাইল ছাড়া আর কিছু বুঝে না। আত্মীয়-স্বজন কেউ কল করলেই ওর কাছে আগে দিতে হবে। কথা ঠিকমতো না বলতে পারলেও কানের কাছে ফোন ধরে রাখে। অন্য খেলনা দিলে ছুড়ে ফেলে দেয়। কোনো ভাঙা বা খেলনা ফোন হাতে দিলে বুঝে এটা ঠিক নেই। যতক্ষণ ভালো ফোনটা তাকে না দেয়া হবে ততক্ষণ চিৎকার করতে থাকে। কিছুতেই থামানো যায় না। রাতে ওর বাবা বাসায় ফিরলে আাগে তাকে ফোন দিতে হবে না হলে কান্না শুরু করে। খাবার খাওয়াতে গেলেই মোবাইলের বায়না ধরে। চোখভরা ঘুম থাকলেও ঘুমোতে চায় না সময় মতো। পাশের বাসার কোনো ছোট্ট বাচ্চা এলেই তার সঙ্গে মিশতে চায় না। পুরোটা সময় সে স্মার্টফোন হাতে নিয়ে কাটায়। ছেলেটিকে নিয়ে খুব বিপদের মধ্যে আছি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রতিনিয়ত মানুষ ফেসবুক বা অনলাইনে বিভিন্ন ছবি, ভিডিও দেখে তখন অবচেতনভাবেই এর সঙ্গে তার নিজেকে তুলনা করতে থাকে। একসময় সে ভয়ঙ্কর নেশার মধ্যে চলে যায়। বাস্তব জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। এতে ব্যবহারকারীর মন-মানসিকতা, শারীরিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিশুদের ডিভাইস আসক্তি আরও ভয়াবহ। কিশোর-কিশোরী বা তরুণরা ফেসবুকে ছবি পোস্ট দিয়ে কিছুক্ষণ পরপর দেখে কয়টি লাইক পড়েছে, কয়টি কমেন্ট করেছে বা সেখানে কে কি বলছে, কেউ নতুন করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে কিনা, কোনো বন্ধু তাকে ব্লক করেছে কিনা এগুলো ফলো করে। গেমসহ বিভিন্ন সাইটে থাকে তাদের বিচরণ। ১৬-২২ বছরের বয়সীদের মধ্যে এই ধরনের প্রবণতাটা বেশি। তাছাড়া এসব আসক্তি যখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয় তখন তার আর কোনো ক্যারিয়ার থাকে না। একটা সময় পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ প্রতিনিয়ত ডিভাইস আসক্ত হয়ে পড়ছে। একাডেমিক কার্যক্রম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অনৈতিক কাজ, অপরাধ, অগ্রণযোগ্য ও পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হচ্ছে। ইভটিজিং, দলগত ধর্ষণ, আত্মহত্যা ও খুনের মতো ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে নজরদারি ও তদারকি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসব ডিভাইস মানুষের মনোস্তাত্ত্বিক আচরণে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে- সেক্ষেত্রে মনস্তত্ত্ববিদরা বলেন, কেউ যদি প্রতিদিন তিনঘণ্টার অধিক বা সপ্তাহে ১০-১২ দিন ফেসবুক বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাহলে প্রাথমিক আসক্তির মধ্যে চলে যায়। এটা যদি তিনমাসের অধিক চলতে থাকে তাহলে সেটি আসক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে চলে যায়। এবং এটি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকলে সেটি আসক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায়।
রাজের মতো শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে ইদানীং মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে অনেকে। ইউটিউব, পাবজি, ফ্রি ফায়ার, গেম, ফেসবুক, টিকটকসহ বিভিন্ন কিছুতে বুঁদ হয়ে থাকে। দিন-রাত আসক্ত হয়ে পড়ছে ইন্টারনেট, মোবাইল বা বিভিন্ন ডিভাইসে।
অপারেটরদের অনিয়ন্ত্রিত নানা অফারে আকৃষ্ট হয়ে এই ডিভাইস ব্যবহার পরিণত হয়েছে আসক্তিতে। যার প্রভাব পড়ছে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ প্রজন্মের ওপর। অসংখ্য মানুষ অনলাইনে আসক্তি হয়ে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত অনলাইনে আসক্তির কারণে বাড়ছে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক দুশ্চিন্তা, হয়রানি ও উৎকণ্ঠা। তৈরি করছে হতাশা, বিষণ্নতা, হীনম্মন্যতা, স্বার্থপর মানসিকতা, খিটখিটে মেজাজ, একাকিত্ব। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে নৈতিক মূল্যবোধ, বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। বাড়ছে কিশোর অপরাধ, পারিবারিক অশান্তি। শিশু-কিশোরদের রোগের ধরনও বদলে দিচ্ছে স্মার্টফোনের এই অতিরিক্ত ব্যবহার। দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি হ্রাস, মাথাব্যথা, মুখে অরুচি, ঘুম কম হওয়া, ঘাড়ব্যথার মতো সমস্যা বর্তমানে সময়ে শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে প্রকট হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া স্মার্টফোনের ব্যবহার শিশু-কিশোরদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি রয়্যাল সোসাইটি অব পাবলিক হেল্থ একটি জরিপ চালায় ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী দেড় হাজার কিশোর-কিশোরীর ওপর। এতে দেখা যায়, ফেসবুক, স্নাপচ্যাট এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের মনে সবচেয়ে বেশি হীনম্মন্যতা এবং দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীদের অর্ধেকই বলেছে, ফেসবুকের কারণে তাদের মানসিক দুশ্চিন্তা, অশান্তি আর উৎকণ্ঠা বেড়ে গেছে। দুই-তৃতীয়াংশ বলেছে, ফেসবুকের কারণে সাইবার বুলিং বা অনলাইনে অপমান-হয়রানির প্রবণতা আরও গুরুতর আকার নিয়েছে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাকালীন স্থবিরতা প্রায় ৬৮ শতাংশ শিশু-কিশোর স্মার্টফোনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। অভিভাবকদের উদাসীনতাও এক্ষেত্রে একটি বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। নাগরিক জীবনে সন্তানদের ঠিকঠাক সময় দিতে না পারা, শিশু সন্তানকে শান্ত করতে যখন-তখন হাতে স্মার্টফোন ধরিয়ে দেয়া। ইউটিউবে ভিডিও দেখানো কিংবা নিজেদের স্মার্টফোনে আসক্তি সন্তানদেরও একসময় স্মার্টফোনে আসক্ত করে তোলে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৩ সালের শেষের দিকে এক জরিপে দেখা গেছে, দেশে ৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫৫.৯০ শতাংশের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোন রয়েছে। এর হার পল্লীতে ৫২.৪৮ শতাংশ ও শহর এলাকায় ৬৩.২২ শতাংশ। দেশের ৮ কোটি ৩৬ লাখেরও বেশি শিশুর রয়েছে নিজস্ব মোবাইল ফোন। যেখানে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৮ কোটি ২৪ লাখের কিছু বেশি মানুষের আছে নিজস্ব মোবাইল। ২০২২ সালে হওয়া এ জরিপে লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের ওই বয়সীদের মধ্যে ৬৬.৫৩ শতাংশ ছেলে ও ৪৫.৫৩ শতাংশ মেয়ের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোন রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক মানবজমিনকে বলেন, দিন দিন স্মার্টফোন ব্যবহারের সংখ্যা বাড়ছে। কোনোধরনের বিধি-নিষেধ ছাড়াই যে যেভাবে খুশি ফেসবুক ব্যবহার করছে। এটি তরুণ প্রজন্মকে কোনো শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে পারেনি। এমনকি পরিবার বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও না। এই আসক্তি মানুষের মনোবৃত্তি ও বুদ্ধিকে প্রভাবিত করে। শিক্ষার্থী বা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার অন্য মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছে। সেখানে নানা ভালো-মন্দ আলোচনা চলে। এসব আলোচনায় একাডেমিক আলোচনা তো নেই-ই বরং নন একাডেমিক আলোচনা হয়। এটি কখনো কখনো গোপনীয়ও হয়। অল্প বয়সে এসব কনটেন্ট গ্রহণ করার তো ক্ষমতা তাদের থাকতে হবে। তখন একাডেমিক পাঠ্যপুস্তকের প্রতি তাদের মনোযোগ হারায়।
অধ্যাপক ড. তানিয়া রহমান বলেন, কৌতূহলবশত যে কোনো আসক্তি প্রথমে তৈরি হয়। যে কোনো জিনিস সম্পর্কে জানতে চায়। কিন্তু যখন এই কৌতুহলটা বাড়তে শুরু করে এবং অভ্যাসে পরিণত হয়, সেই অভ্যাস থেকে এটি আসক্তিতে পরিণত হয়। মানুষের প্রয়োজনের তাগিদে হয়তো মোবাইল বা অনলাইন ব্যবহার করে। কিন্তু এখন দেখা গেছে, এই অপরিহার্যতাকে অতিক্রম করে আমরা আসক্ত হয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, একসময় এটি একটি নেশার মধ্যে চলে যায়। অন্যরা ফেসবুকে বা অন্যান্য সাইটে কী করছে, নতুন কী আসছে, কী আপডেট হচ্ছে এই জিনিসগুলো তাকে আকৃষ্ট করে বেশি। রাতের বেলা ফোন স্ক্রল না করলে ঘুমাতে পারছে না, ঘুমের আগেও মনে হচ্ছে এটা দেখি ওটা দেখি। এই ক্ষতি থেকে মুক্তি পেতে জোর করে হলেও নিজেকে নিজে কাউন্সেলিং করা উচিত। সেটা পসিবল না হলে চিকিৎসকের কাছ থেকে কাউন্সেলিং নেয়া উচিত। মানুষের ব্রেনসহ শরীরের সমস্ত পার্টকে বিশ্রাম দেয়া দরকার। সেটা না করে সেই সময়টায় মোবাইল ধরে ঘাঁটাঘাঁটি করে। এক সময় ডিজঅর্ডারের পর্যায়ে চলে যায়। এই ডিভাইস বা অনলাইন ব্যবহারে শুধু কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী নয়, বাচ্চারাও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ডিভাইসের রেডিয়েশন ও ডিভাইসের এডিকশন তৈরি হয়ে আলাদা আলাদা ক্ষতি হয়। এটি ব্যবহার করার কারণে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হয়। কাছের জিনিস দেখতে পেলেও দূরের জিনিস দেখতে পারে না। ধীরে ধীরে মায়োপিয়া নামে একটি রোগে আক্রান্ত হয়। অনেকক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের বাইরের অংশটা শুকিয়ে যায়। তখন চোখে খচখচ করে মনে হয় যেন কিছু একটা ময়লা পড়ে আছে। অন্যদিকে দূরের জিনিস দেখতে গেলে চোখটা কুঁচকে থাকতে হয়। চোখে ব্যথা করে এবং দীর্ঘক্ষণ দূরের কিছু দেখতে গেলে মাথাব্যথাসহ বমি বমি ভাব মনে হয়। এবং মানুষ তার চারপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সামাজিকভাবে মানিয়ে চলার ক্ষমতা কমে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, এই বিকিরণ থেকে মস্তিষ্কের ক্যান্সার তৈরি হতে পারে। যদিও এর সপক্ষে বড় কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ বা গবেষণালব্ধ কোনো ফল এখনো দেখা যায়নি। সবমিলিয়ে বলবো, ডিভাইসে চোখ রাখার সময় কমিয়ে রাখা ভালো। তিনি বলেন, শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিশক্তি দ্রুত পরিবর্তন হয়। ফলে তাদের চোখ দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেখা যায় স্কুলে চশমা পরা বাচ্চার সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। আরেকটি ব্যাপার হলো সে যখন স্ক্রিনে সময় বেশি দেয় তখন চারপাশের তার ইন্টারেকশন কমে গেলে তার কথা বলার দক্ষতা, ভাষা শেখার দক্ষতা কমে যায় এবং চারপাশের মানুষের সঙ্গে মিশতে পারলে তার মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঠিকমতো হয় না। ফলে তার মানসিক ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঠিকমতো হয় না অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, অযাচিতভাবে সোশ্যাল মিডিয়া, টুইটার, ইউটিউব ব্যবহার করে সময়ের অপচয় করছে। কীভাবে সময় চলে যাচ্ছে সেটি অনেকে বুঝতে পারছে না। এমনকি এটি ব্যবহার করার পরে অনেক সময় আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমান সময়ে এটি ব্যবহারের থেকে তরুণ-তরুণীরা বেশি অপব্যবহার করছে। পরিবার ও শিক্ষকদের বড় একটা ভূমিকা রয়েছে। বই পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে। খেলাধুলা বা সাংস্কৃতিক চর্চা করে তাহলে কিন্তু এই মোবাইল আসক্তি থেকে সে সহজে বেরিয়ে আসতে পারবে। তিনি বলেন, ১৩-১৯ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা কিন্তু খুব আবেগী হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিচরণ করে বিপদে না পড়লে কিন্তু এ বিষয়গুলো বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধব বা অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করে না। সবসময় নিজের ভিতরে বিষয়গুলো রাখার চেষ্টা করে। এই বিষয়গুলো নিয়ে বাবা-মায়ের উচিত তার সন্তানদের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনা করা। শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট খারাপসহ অনলাইনে বুলিং ও হ্যারেসমেন্টের শিকার হচ্ছে। ১৮ বছরের নিচে যারা তাদেরতো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার কথা নয়, তারপরেও কিন্তু সে খুলছে। বাবা-মা-ই তাকে পরিবারের সদস্যদের নামে রেজিস্ট্র্রেশন করা সিম হাতে তুলে দিচ্ছে। সে কিন্তু সেই সিমের মাধ্যমে ফেসবুক খুলছে। আমাদের সিআইডি সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে প্রতিদিনই অনেকে ফোন করে মোবাইল ও অনলাইনে আসক্তি বা বিভিন্ন সমস্যার কথা জানায়। আমরা তাদের অনেক সময় ফোনে পরামর্শ দেই।