সদ্যবিদায়ী মে মাসে দেশে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৪ হাজার ৭০ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা কমেছে ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। গত এপ্রিল মাসেও কমেছিল দেশের রফতানি আয়।
গতকাল রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, সদ্যবিদায়ী মে মাসে দেশের রফতানি আয় ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ কমেছে। এ সময় রফতানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭০ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪ হাজার ৮৪৯ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর গত এপ্রিল মাসে দেশের রফতানি আয় কমেছিল শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ।
মে মাসে পূরণ হয়নি রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও। এ মাসে বাংলাদেশের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৩৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম রফতানি আয় হয়েছে।
ইপিবি জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ৫১ হাজার ৫৪২ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ০১ শতাংশ বেশি।
তৈরি পোশাক খাত
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৮৫০ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলারে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম। তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ২৪ হাজার ৭০৯ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া ১৯ হাজার ১৪১ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১ দশমিক ০৯ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের মধ্যে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রফতানি কমেছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭৭৬ দশমিক ০৬ মিলিয়ন ডলারে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ দশমিক ৮১ শতাংশ কম। এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলারে, যা গত অর্থবছরে জুলাই থেকে মে মাসের মধ্যে ছিল ১ হাজার ১২০ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার। তবে জুলাই থেকে মে মাসের মধ্যে কৃষিপণ্যের রফতানি আয় ৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৮৪৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।