ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ হয়ে পড়ে। পর্যাক্রমে তা মেরামত করে সংযোগ চালু করার প্রক্রিয়া চলমান থাকার পরও কমেনি লোড শেডিং। গ্রামাঞ্চলের লোড শেডিং বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাজধানীতেও চলছে ঘন ঘন লোডংশেডিং। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।
খোঁজ নিয়ে জানা , গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। এতে করে বাসা বাড়িরতে দুর্ভোগের পাশাপাশি কর্মমুখী মানুষের কাজে ব্যাঘাত তৈরি হচ্ছে। ডিসিডিসি ও ডেসকো এলাকার গ্রাহকরা চরম বিপাকে রয়েছে বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের কারনে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের রেমালার পর তিন কোটির বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। চারদিনের মাথায় ৯৯ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি এক শতাংশ গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হবে বলে বেশি সময় লাগছে। তবে দ্রুত তাঁদের সংযোগ ফেরাতে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় কাজ করছে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দুপুর ১২টার পর দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৯ লাখ ২২ হাজার ৪৯৫টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। সন্ধ্যার মধ্যে এর একটি অংশের সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরাতে আরইবির ঠিকাদার ও নিজস্ব জনবল মিলে ২১ হাজারের বেশি কর্মী মাঠে কাজ করছেন। ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আরইবির। দেশের অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আরইবি।
ঢাকার বাইরে শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন মেরামত করে শতভাগ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রাহক প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ।
এদিকে গ্রামের পর এবার রাজধানী ঢাকায়ও বাড়ছে লোডশেডিং। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় মানুষ অতিষ্ঠ। বিদ্যুতের ঘাটতিতে অনেক এলাকায় নিত্যদিনের কাজে বিঘিœত হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে। এদিকে গ্যাসের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও লোডশেডিংয়ের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।