বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি খন্দকার আয়েশা সিদ্দিকার পিতা খন্দকার মোজাম্মেল হক গতকাল রাত ৮.১৫ টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে ইন্তিকাল করেছেন-ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুম দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। কর্মজীবনে তিনি সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী মরহুমা খন্দকার মমতাজ বেগমও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সম্মানিতা সদস্যা ছিলেন। তার জামাতা হেমায়েত হোসাইন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য। তিনি আজীবন ইসলামী আন্দোলনের সাথে যুক্ত থেকে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
গতকাল রাত ১১.৩০ ঢাকার কল্যাণপুরে মরহুমের ১ম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম। নামাজে জানাজায় বিপুল সংখ্যক সাধারণ মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন। ঢকায় জানাজা শেষে মরহুমের কফিন ঝালকাঠি সদর উপজেলার দিবাকরকাঠি গ্রামে পাঠানো হয় এবং বাদ আছর স্থানীয় ফকিরবাড়ী মসজিদে শেষ নামাজে জানাজা শেষে তাকে বরিশাল মুসলিম গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে।
শোকবাণী
খন্দকার মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এক শোকবাণীতে মহানগরী উত্তর আমীর বলেন, খন্দকার মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে ইসলামী আন্দোলন একজন নিবেদিত প্রাণ মানুষকে হারালো। তার মৃত্যুতে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজেই পুরণীয় নয়। তিনি দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন। মহানগরী আমীর মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের ধৈর্য ধারণের তাওফিক কামনা করেন।