ন্যায়-ইনসাফ, মানবিক মূল্যবোধভিত্তিক শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত কল্যাণমূখী গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এক যৌথ শুভেচ্ছা বাণীতে তারা এসব কথা বলেন।
এক শুভেচ্ছা বাণীতে মহানগরী উত্তর নেতৃদ্বয় বলেন, রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি ও তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমযান বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। মূলত, রমযান হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও আত্মিক উন্নতি, আল্লাহর সান্নিধ্য ও নৈকট্য লাভের উত্তম মাধ্যম। এর মধ্যেই রয়েছে আর্ত-মানবতার সর্বাঙ্গীন কল্যাণ ও মুক্তি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর আমাদের মাঝে আবারো ফিরে এসেছে পবিত্র ‘ঈদুল ফিতর’। ঈদের প্রকৃত শিক্ষাই হচ্ছে আর্ত-মানবতার কল্যাণ এবং বিপন্ন ও অভাবগ্রস্ত মানুষের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতরে গণমানুষের কল্যাণ ও দারিদ্র বিমোচনে যাকাত ও সাদাকাতুল ফিতর যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। নেতৃদ্বয় ঈদুল ফিতরের প্রকৃত শিক্ষা ধারণ করে আর্ত-মানবতার কল্যাণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর জাতি ঈদ উৎসবের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেও তারা মোটেই স্বস্তিতে নেই। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে ধর্মপ্রাণ মানুষের সিয়াম পালন নির্বিঘ্ন ও উৎসব মূখর হয়নি। পবিত্র রমজান মাসেও জুলুমবাজ সরকার ধর্মীয় অধিকারে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ্ত করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধর্মের মানুষের জন্য ধর্মপালন উন্মুক্ত হলেও সরকার রমজানের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বাধা দিয়ে নিজেদের ইসলামবিরোধী কদর্য ও নগ্ন চেহারা দেশ ও জাতির সামনে উম্মুক্ত করেছে। সরকার ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঈদ যাত্রাও নির্বিঘ্ন করতে পারেনি। পরিবহন সঙ্কট, বাড়তি ভাড়া ও পথে পথে চাঁদাবাদী জনগণের ঈদ যাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তিনি ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি জোরদাবি জানান এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সকল শ্রেণির নগরবাসীর প্রতি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।