বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সদস্য বলেছেন, সরকার দেশকে নেতৃত্ব শুণ্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও আমীরে জামায়াত মকবুল আহমাদ এবং সেক্রেটরি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু দেশপ্রেমী জনতা সরকারের জুলুম-নির্যাতন মোকাবেলায় রাজপথে নেমে এসেছে। তারা সর্বাত্মকভাবে হরতাল সফল করে জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে লালবার্তা পাঠিয়েছে। তিনি সরকারকে জুলুম-নির্যাতন পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত সহ শীর্ষনেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তিনি আজ রাজধানীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক মিছিল পরবর্তী সমাবেশে একথা বলেন। মিছিলটি মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আবু নাঈম, সৈয়দ কামরুল হাসান, এনামুল হক ও ছাত্রনেতা আব্দুর রহিম প্রমূখ।
মাওলানা দেলাওয়ার বলেন, জামায়াত একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও বৈধ রাজনৈতিক সংগঠন। জামায়াত দলীয় কার্যক্রম পরিচালনায় দেশের আইন, সংবিধান ও প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু পুলিশ সম্পূর্ণ ন্যাক্কারজনকভাবে আমীরে জামায়াতের নেতৃত্বে ঘরোয়া বৈঠক চলাকালে তিনিসহ কেন্দ্রীয় নেতৃব্ন্দৃকে গ্রেফতার করেছে। যা আইনের শাসন, মানবাধিকার ও রাষ্ট্রীয় সংবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন। তিনি সরকারকে বিরাজনীতিকরণের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক শাসনে ফিরে আসার আহবান জানান। অন্যথায় জনগণ ফ্যাসীবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
মিরপুর পূর্ব থানা
হরতালের সমর্থনে মিরপুর পূর্ব থানার উদ্যোগে নগরীতে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি মিরপুর ২ নং থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ৬০ ফুট রাস্তায় বারেক মোল্লা মোড়ে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন থানা আমীর আব্দুল্লাহ জোবায়ের। উপস্থিতি ছিলেন থানা সেক্রেটারি টুটুল, জামায়াত নেতা আব্দুল মান্নান, ফিরোজ, আবু জায়েদ ও ছাত্রনেতা রমজান আলী প্রমূখ।