বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ২৮ আক্টোবরের নারকীয় হত্যাকান্ড বিশ্ব দরবারে দেশকে সন্ত্রাসী ও অসভ্য রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে এভাবে মানুষ পিটিয়ে হত্যার ঘটনা বিশ^বাসী আর কখনো প্রত্যক্ষ করেনি। মূলত এই নারকীয় হত্যাকান্ডের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা নস্যাৎ করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আজও এই নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যান্ডের বিচার হয়নি। তিনি ২৮ আক্টোবরের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং শহীদানের মাগফিরাত কামনা দোওয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কেন্দ্র ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মিরপুর পশ্চিম থানা আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর আব্দুল্লাহ মুয়াজের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি নাজমুস সা’দাত, জামায়াত নেতা এ্যাডভোকেট রাকিবুল ইসলাম ও জসিম রেজা প্রমূখ।
মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। ফলে দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও গুপ্তহত্যা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। জনগণের ক্রয় ক্ষমতা না থাকলেও দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই জনগণের ওপর দলন-পীড়ন চালাচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় বয়োবৃদ্ধ রাজনীতিক ও আমীরে জামায়াত মকবুল আহমদ সহ জামায়াতের শীর্ষনেতাদের গ্রেফতার করে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি সরকারকে নেতিবাচক বাচক রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত মকবুল আহমদ সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।
মোহাম্মদপুর থানা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের নারকীয় হত্যাকান্ড ইতিহাসের সকল নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। সেদিন ১৪ দলীয় সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠার তান্ডব চালিয়ে রাজপথে নিরপরাধ মানুষ পিটিয়ে হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। যা আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণ বিশ^বাসী প্রত্যক্ষ করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও এই নারকীয় হত্যাকান্ডের আজও বিচার হয়নি বরং সরকার এই হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। তিনি ২৮ অক্টোবরের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কেন্দ্র ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের শহীদদের স্মরণে দোয়া কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মোহাম্মদপুর থানা আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা এনামুল হক, ছাত্রনেতা আব্দুর রহীম ও আসাদুজ্জামান এবং জামায়াত নেতা স ম ফারুক প্রমূখ।
দক্ষিণখান থানা
দক্ষিণখান থানার উদ্যোগে স্থানীয় একটি মিলানায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন থানা আমীর মো. মনিরুল হক। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমীন,জামায়াত নেতা জাকারিয়া আদনান, নজরুল ইসলাম শহীদ ও ও ডা. হাবিবুর রহমান প্রমূখ। আলোচনা সভার পর শহীদদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
দারুসসালাম থানা
দারুসসলাম থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি আবু রায়হান। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আবু নাহিয়ান, জামায়াত নেতা মাওলানা কে আলম আনসারী, ডা. রেজা, আব্দুল হান্নান ও আব্দুল মান্নান প্রমূখ।
বিমানবন্দর থানা
বিমানবন্দর থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তরা জোনের সহকারি পরিচালক মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি এ কে শিপন মোল্লা, ছাত্রনেতা মীর সিহাব, জামায়াত নেতা আবুল হাসেম, শাহ আলম ও সুজারুল হক প্রমূখ। পরে শহীদ মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
হাজীক্যাম্প
বিমানবন্দর থানার হাজীক্যাম্প ওয়ার্ডের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি এ কে শিপন মোল্লা। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আবুল হাসেম ও সুজাউল হক সুজন প্রমূ।
আশকোনা
বিমানবন্দর থানার আশকোনা ওয়ার্ডের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন থানা আমীর এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা শাহ আলম, মনিরুল ইসলাম, একরামুল হক ও শাহাদাত মৃধা প্রমূখ।