বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় মু্িক্তযোদ্ধা পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইকবাল গত রাত ২.৪৫ টায় ঢাকাস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে ইন্তিকাল করেছেন-ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি দীর্ঘদিন লিভার ক্যান্সার সহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে এবং ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ৭ ভাই ২ বোনের মধ্যে চতুর্থ। তার জন্মস্থান লক্ষ্মীপুর জেলার রাজগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামে। তিনি ঢাকার আদাবর থানার শ্যামলী হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করতেন।
মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা বেলা ১১.৩০ টায় ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে এবং শেষ জানাজা বাদ জু’মা মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য শহীদুল ইসলাম ও শহীদ ফারুকী, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা ও হেমায়েত হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মসলিশে শুরা সদস্য রফিকুন্নবী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক নূরনবী মানিক, নিউ মার্কেট থানা আমীর ফরিদ হোসেন, ধানমন্ডি থানা আমীর এ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন তালুকদার, ডা. শফিউর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দীন, ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি ও সাব-সেক্টর কমান্ডার ফজলুল হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দীন প্রমূখ। নামাজে জানাজায় বিপুল সংখ্যান সাধারণ মুসল্লীও অংশ গ্রহণ করেন। পরে তাকে মোহাম্মদপুরস্থ সলিমুল্লাহ রোড কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শোক বাণী
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইকবালের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এক শোক বাণীতে মহানগরী উত্তর আমীর বলেন, মোহাম্মদ ইকবালের মৃত্যুতে আমরা একজন দেশপ্রেমী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হারালাম। তার অকাল মৃত্যুতে যে শুণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজেই পূরণীয় নয়। মরহুম ১৯৭১ সালে মহান মুক্তি সংগ্রামে মরণপণ লড়াইয়ে অংশ নিয়ে দেশ, জাতি ও স্বাধীনতার জন্য যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন জাতি তা চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তিনি সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে আর্ত-মানবতার কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্যও গণমানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকবেন। মহানগরী আমীর মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।