বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম বলেছেন, সরকার দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করতেই জামায়াতে ইসলামীকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। সেই গভীর ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় আমীর জামায়াত ও বয়োবৃদ্ধ জাতীয় নেতা মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান সহ নেতৃবৃন্দ গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে হয়রানী করা হচেছ। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কখনো ইসলামের অগ্রযাত্রা রোধ করা যায়নি। তিনি আমীরে জামায়তসহ আটক নেতৃবৃন্দের মুক্তি, সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী ‘দোয়া দিবস’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমূখ।
ড. এম আর করিম বলেন, সরকার দেশকে বিরোধী দলমুক্ত ও একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করতেই ফরমায়েসী বাদী, সাজানো সাক্ষী, দলীয় প্রসিকিউশন ও কাল্পনিক অভিযোগে সাবেক আমীরে জামায়াত ও বিশ্ব বরেণ্য আলেমে দ্বীন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা এবং সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। সরকারের বিরাজনীতিকরণের অংশ হিসেবেই জনপ্রিয় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের নামে হাজার হাজার মিথ্যা, বানোয়াট ও যোগসাজসী মামলা দিয়ে তাদেরকে বছরের পর বছর ধরে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। রিমান্ডের নামে এসব নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হয়েছে লোমহর্ষক ও অবর্ণনীয় নির্যাতন। কিন্তু সরকার বিরোধী দল নির্মূলের জন্য যতই জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে, জনতার প্রতিরোধও ততই শানিত হচ্ছে। তাই জামায়াতের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র সফল হবে না বরং তা সরকারের জন্যই বুমেরাং হবে-ইনশা আল্লাহ।
তিনি বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। সরকারের জুলম-নির্যাতন, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে অবৈধ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতা হারানোর প্রহর গুণছে। তারা জনগণের শক্তির ওপর আস্থা হারিয়ে দেশকে পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার পরিবর্তে নিজেরাই জননিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তারা রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতেই রাষ্ট্রের সকল অঙ্গকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। ধবংস করা হয়েছে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। দেশের বিচারবিভাগকে সরকারের আজ্ঞাবাহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধান বিচারপতির সাথে সরকারের ঘৃণ্য আচরণ সে কথায় স্মরণ করিয়ে দেয়। কিন্তু এসব করে জুলুমবাজ ও স্বৈরাচারী সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বরং ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সরকারকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে।
আদাবর থানা
আমীরে জামায়াত মকবুল আহমাদ সহ আটক শীর্ষনেতৃন্দের মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় আদাবর থানার উদ্যোগে স্থানীয় একটি মিলনায়তে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর ডা. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রটারি আব্দুল হান্নান সহ স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেই বিরোধী দলের ওপর দলন-পীড়ন চালাচেছ সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই বর্ষীয়ান জননেতা ও আমীরে জামায়াত মকবুল আহমদ সহ শীর্ষনেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে হয়রানী করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের সে স্বপ্নবিলাস কখনোই সফল হবে না। তিনি সরকারকে টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়ত সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।
মোহাম্মদপুর থানা
আমীরে জামায়াত মকবুল আহমাদ সহ আটক শীর্ষনেতৃন্দের মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় মোহাম্মদপুর থানার উদ্যোগে স্থানীয় একটি মিলনায়তে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা এ্যাডভোকেট আজহার মুন্সী, আ স ম ফারুক ও ছাত্রনেতা আব্দুর রহীম প্রমূখ। পরে আমীরে জামায়তসহ আটক নেতৃবৃন্দের মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামানায় দোওয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
দোয়া পূর্ব বক্তব্যে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন বলেন, সরকার বিরোধী দল নির্মূলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আমীরে জামায়াত ও বর্ষীয়ান রাজনীতিক মকবুল আহমদ সহ শীর্ষনেতৃবৃন্দকে আটক করে রিমান্ডের নামে নাজেহাল করছে। কিন্তু দেশপ্রেমী জনতা সরকারের সে ষড়যন্ত্র কখনো মেনে নেবে না। তিনি সরকারকে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত সহ শীর্ষ নেতৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
রমনা থানা
রমনা থানার উদ্যোগে মগবাজারে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর ড. আহসান হাবিবের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর এম জে রহমান, সেক্রেটারি এম এ রহমান, জামায়াত নেতা সুলতান মাহমুদ ও ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
কাফরুল থানা
কাফরুল থানার উদ্যোগে নগরীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জামায়ত-শিবির নেতৃবৃন্দ।
রামপুরা থানা
রামপুরা থানার উদ্যোগে থানা আমীরের পরিচালনায় স্থানীয় একটি মিলনায়তনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা এস ইসলাম, এ এম পাটোয়ারী, এফ এইচ ফজলু, ইঞ্জিনিয়ার এ রশিদ, অধ্যাপক আব্দুল হালিম, এ হাদী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, এম শামীম ও এস এম মনির প্রমূখ।
মিরপুর পূর্ব
মিরপুর পূর্ব থানার উদ্যোগে নগরীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর আব্দুল্লাহ জোবায়েরের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা ফিরোজ, মোবারক, মনোয়ার ও রাকিব প্রমূখ।
তেজগাঁও থানা
তেজাগাঁও থানার উদ্যোগে থানা আমীরের পরিচালনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি সহ স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দ।
তুরাগ থানা
তুরাগ থানার উদ্যোগে ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য ও ওলামা বিভাগের সভাপতি হাফেজ মাওলানা ফারুক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন থানা আমীর মেসবাহ উদ্দীন নাঈম, থানা সেক্রেটারি গাজি মনির হোসাইন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বিমানবন্দর থানা
কাওলা ঃ কাওলা বাজারে কলোনী ওয়ার্ডের উদ্যোগে উত্তরা জোনের সহকারি পরিচালক আতিকুর রহমানের অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি এনামূল হক শিপন, জামায়াত নেতা হামিদ হোসাইন আযাদ ও মাহবুবুল ইসলাম দিদার সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
হাজীক্যাম্প ঃ হাজীক্যাম্প ওয়ার্ডের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন থানা এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, থানা সেক্রেটারি এনামুল হক শিপন, জামায়াত নেতা আবুল হাসেম ও সুজাউল হক সুজন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আসকোনা ঃ আসকোনা ওয়ার্ডের উদ্যোগে থানা আমীর এ্যাডভোকেট ইব্রাহীম খলিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মনিরুল হক, একরামুল হক ও ইঞ্জিনিয়ার রুহুল হক সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উত্তরা পশ্চিম থানা
উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে স্থানীয় একটি মিলনায়তে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও থানা আমীর এ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন সুজার সভাপতিতে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উত্তরা জোনের সহকারি পরিচালক মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, থানা সেক্রেটারি শাহজাহান, জামায়াত নেতা এ কে এম নূর, মো. ইসহাক, মাওলানা হারুন অর রশীদ ও তারেক প্রমূখ। মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট প্রকৌশলী শফি উদ্দীন আহমদ।
উত্তরা পূর্ব থানা
৬ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে থানা সেক্রেটারী এ্যাভোকেট মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আনোয়ার হোসেন মোল্লা সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
দক্ষিণখান
জামায়াত নেতা কামাল উদ্দীনের পরিচালনায় দক্ষিণখান থানার উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম ও মাওলানা মো. আব্দুস সাত্তার প্রমূখ।
এছাড়াও গুলশান, ভাষানটেক ও বানানী থানার উদ্যোগে আমীরে জামায়াত সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মু্িক্ত, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।