ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত ন্যায়-ইনসাফের সমাজ এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী করার মাধ্যমে যাকাত ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেক সাহেব নেসাব এবং বিত্তশালীদের মুক্ত হস্তে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের কাফরুল থানা দক্ষিণ আয়োজিত এক সুধী সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর অধ্যাপক আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি মুসআব মুহাইমিনের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি Dr. Mohammad Fakhruddin Manik।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাস পবিত্র মাহে রমজান। রমজানের প্রকৃত শিক্ষায় হচ্ছে নিজেরদের নফসের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা। কালামে পাক এ মাসেই অবতীর্ণ হয়েছিল বলে রমজান মাসকে কুরআনের মাসও বলা হয়। বদর যুদ্ধের বিজয় সহ ইসলামের বড় বড় বিজয় এই মাসেই সূচিত হয়েছে। কিন্তু জুলুমবাজ সরকার এই মাসের পবিত্রতা রক্ষায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। অশ্লীলতা, বেহায়না ও ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি ইফতার মাহফিল ও তারাবীহ নামাজ আদায়কারীরা সরকারের জিঘাংসা ও প্রতিহিংসা থেকে রেহাই পাননি। মূলত এই সরকার গণবিরোধী ও ইসলাম বিদ্বেষী সরকার। তাই দেশ, জাতি, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধের বৃহত্তর স্বার্থেই এই ফ্যাসীবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে। তিনি অগণতান্ত্রিক শক্তির পতনের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষ সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি গণমুখী, আদর্শবাদী ও সেবামূলক রাজনৈতিক সংগঠন। আর মানবসেবা ইসলামের একটি অন্যতম ইবাদত। ঢাকা মহানগরী উত্তর দারিদ্র বিমোচন, মানবসেবা, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার সম্প্রসারণ, শিশুদের মধ্যে মূল্যবোধ চর্চা, সমাজ সংস্কার, বিধবা ও তালাক প্রাপ্তদের কল্যাণে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আমরা মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য এককালীন আর্থিক সাহায্য ও কর্জে হাসানা কার্যক্রম চালু করেছি। একই সাথে ইকামাতে দ্বীনের ক্ষেত্রেও আমরা আপোষহীন। তিনি এসব মহতী কর্মসূচিকে সফল ও স্বার্থক করার জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষকে জামায়াতের যাকাত ফান্ডকে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। তাহলেই আমাদের আগামী দিনের পথচলা সহজ হতে সহজতর হবে।