পবিত্র মাহে রমযানের শিক্ষাকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে আত্মগঠন, তাক্বওয়া অর্জন এবং ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরখান থানা পশ্চিম আয়োজিত সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে এক সুধী সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর হাসনাইন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য এবং উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মু. জামাল উদ্দিন। উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মু. বোরহান উদ্দিন দেওয়ান, উত্তরখান পূর্ব থানার আমির মু. ইসরাইল হোসেন, উত্তরখান থানা পশ্চিমের সেক্রেটারী অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ, আব্দুর রহমান, মু. কুরবান আলী ও আওলাদ হোসাইন প্রমুখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, নিঃসন্দেহে রমজান হলো সর্বোত্তম মাস। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রমজান মাস হলো সেই মাস, যে মাসে কুরআন নাজিল করা হয়েছে। যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ অনুসারীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশক; আর ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটি পাবে, সে রোজা রাখবে….। (সূরা আল বাকারাহ, আয়াত-১৮৫)। হাদিসে রাসূল (সা.)-এ বলা হয়েছে, রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখে এবং সওয়াব লাভের আশায় রোজা রাখে, আল্লাহ তার সব গোনাহ মাফ করে দেন।’ ( সহিহ আল বোখারি, হাদিস-২০১৪)।
তিনি বলেন, মূলত এই মহিমান্বিত মাস দোয়া কবুল ও নাজাতের মাস। তাই এই মোবারক মাসে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি চাইতে হবে। মানুষ যাতে তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি লাভ করতে পারে এজন্যই সিয়ামকে আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় করে দেয়া হয়েছে। কালামে হাকিমে বলা হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যে-রূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সূরা আল বাকারা, আয়ত-১৮৩)। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত মাহে রমযানের হক যথাযথ ভাবে আদায় করে আত্মশুদ্ধি ও তাযকিয়া অর্জনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন করা। তিনি মাহে রহমানের প্রকৃত শিক্ষাকে বাস্তবজীবনে কাজে লাগিয়ে শান্তির সমাজ বিনির্মাণে সকলকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।