বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা বলেছেন, আমরা যাতে আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জন করতে পারি এজন্যই সিয়াম পালন আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে। রমজানের প্রকৃত শিক্ষায় হচ্ছে আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি। এই মোবারক মাসেই মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে। তাই মাহে রমজানে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে সকলকে আত্মগঠন ও তাজকিয়া অর্জনে মনোনিবেশ করতে হবে। তিনি রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা আয়োজিত পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর ডা. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমির মাহাদী হাসান, থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম রুবেল, রুহুল আমিন ও আশরাফুল আলম প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, রমজানের প্রকৃত শিক্ষায় হচ্ছে পশুত্বের ওপর নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করা। সর্বপরি আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জন। এ মাসের একটি নফল একটি ফরজ এবং একটি ফরজ ৭০ ফরজের সমান। বছর পরিক্রমায় আমাদের মাঝে যখন আবার রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুনের বারতা নিয়ে মাহে রমজান হাজির হলেও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধগতির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
মানুষ নিজেদের দৈনন্দিন জীবন-জীবিকা নির্বাহে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। এমতাবস্থায় আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সামান্য কিছু হাদিয়া নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হয়েছি। এতে কেউ ন্যূনতম উপকৃত হলে আমাদের শ্রম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করবো। তিনি প্রান্তিক শ্রেণির রোজাদারদের দুর্দশা ও কষ্ট লাঘবে দলীয় নেতাকর্মীদের সাধ্যমত চেষ্টা চালানোর আহবান জানান।