বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ইসলামের ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী পবিত্র আশুরা। ৬১ হিজরীর ১০ই মোহাররম কারবালা প্রান্তরে রাসূল (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) এর শাহাদাতে প্রত্যেক মুসলমান মর্মাহত হন। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ও অন্যায় ও অসত্যের কাছে আত্মসমর্পণ করেননি। তাই পবিত্র আশুরার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অবিচল থাকতে হবে। তিনি পবিত্র আশুরার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহবান জানান।
তিনি রোববার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ‘পবিত্র আশুরার তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শুরা সদস্য এ আর এম মনির, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ড. আহসান হাবীব ও সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি তা থেকে মোটেই আলাদা নয়। সরকার দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করতেই সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার পরিবর্তে নিজেরাই জননিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তাই দেশকে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসীবাদী শক্তির অপশাসন ও দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে সত্য ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় সিসাঢালা প্রাচীরের মতো অবিচল থাকতে হবে। মূলত ত্যাগ ও কোরবানী ছাড়া কখনোই ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, পবিত্র আশুরার চেতনা নবী-রাসূল (সা.) গণের প্রদর্শিত ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং সর্বোচ্চ কুরবানির নজরানা পেশ করার চেতনা। দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ত্যাগ ও কোরবানীর সর্বোচ্চ নজরানা পেশ করে গেছেন। শহীদ সাবেক আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, শহীদ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা এবং শহীদ মীর কাসেম আলী শাহাদাতের নজরানা পেশ করে বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনকে মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে গেছেন।
তাই শহীদানের রক্তের পথ ধরে ত্যাগের মহীমায় উজ্জীবিত হয়ে দ্বীন বিরোধী শক্তিকে সফল ও সার্থকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আশুরার শিক্ষা ধারণ করে স্বৈরাচারি, ফ্যাসীবাদী ও অশুভ শক্তির মোকাবেলায় যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে সকলের প্রতি আহবান জানান।