অগণতান্ত্রিক শক্তির অপশাসন- দুঃশাসনের পরিবর্তে দেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ময়দানে অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের শের-ই-বাংলা নগর দক্ষিণ থানার উদ্যোগে অগ্রসর কর্মী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মাওলানা আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এ এস মন্ডলের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি Dr. Rezaul Karim। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসেন, মহানগরী প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক Md Ataur Rahman Sarker ও শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক কলিমউল্লাহ প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন আমাদের গৌরবের স্মারক। তমদ্দুন মজলিস এ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। অধ্যাপক গোলাম আযম ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কাছে মানপত্রও পাঠ করেছিলেন। অধ্যাপক গোলাম আযম ডাকসুর নির্বাচিত জিএস হলেও রাজনৈতিক সংকীর্ণতা ও হীনমন্যতার কারণে ডাকসুর নামফলক থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে। মহল বিশেষের প্রতিহিংসার কারণেই ভাষা আন্দোলনের কৃতিত্ব থেকে অধ্যাপক গোলাম আযমকে বঞ্চিত করা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু এতে তারা সফল হয়নি; হবেও না বরং ইতিহাসই প্রকৃত ভাষা সৈনিকদের মর্যাদা নিশ্চিত করবে। তিনি ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সকলকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ইসলাম পরাজিত হওয়ার জন্য আসেনি বরং সকল বাতিল শক্তির ওপর বিজয় লাভের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের জন্য এই পরিপূর্ণ জীবন বিধান আমাদের জন্য পাঠিয়েছে। আর এই দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টা চালানো আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় করে দেওয়া হয়েছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং জান ও মালের কোরবানীর মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ের প্রত্যয়ে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।