বিশ্ব ইতিহাসে ভাষার জন্য শাহাদাত বরণ অদ্বিতীয় ও বিরল ঘটনা হলেও নেতিবাচক রাজনীতির কারণে ভাষা শহীদ ও সৈনিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি এবং বাংলাভাষাও সর্বজনীন হয়ে ওঠেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর ডা. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা ঢাকা মহানগরীর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও জোন পরিচালক মু. জিয়াউল হাসান। উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমীর মাহাদী হাসান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম, রুহুল আমিন ও এবাদত হোসেন প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, অন্যায়, অবিচার, অপরাজনীতি ও বৈষম্যের পরিবর্তে ন্যায়- ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ছিল স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে মরণপণ মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও পাঁচ দশক অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও স্বাধীনতার সুফলগুলো আজও আমাদের কাছে অধরায় রয়ে গেছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনের নামে দেশ ও জাতির সাথে চলছে নির্মম প্রহসন। এমতাবস্থায় গণমানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। তিনি মহান একুশের চেতনায় শোষণ, বঞ্চনা, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিচ্যুতির কারণেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়নি। সংবিধানে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা কথা বলা হলেও রাষ্ট্রাচারের কোন ক্ষেত্রেই সে প্রতিফলন নেই। মূলত, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধই হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবজ। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্রের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করে জাতিকে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কথিত উন্নয়নের ঢাকঢোল পিটিয়ে গণমানুষের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। যা ৭ জানুয়ারির তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাই দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। তিনি ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।