দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন ও নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জনের মাধ্যমে শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দায়িত্বশীল ও জনশক্তিদেরকে প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ শুক্রবার রাজধানীতে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের মোহাম্মদপুর মধ্য থানা আয়োজিত থানা শুরা, কর্মপরিষদ ও ওয়ার্ড দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও মোহাম্মদপুর মধ্য থানা আমীর মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগরী কর্ম পরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান এবং মহানগরী কর্ম পরিষদ সদস্য ড. মাওলানা হাবিবুর রহমান। এছাড়াওও উপস্থিত ছিলেন-থানা সেক্রেটারি, মারুফ হোসেন, বাইতুলমাল সম্পাদক ফরহাদ, হোসেনসহ থানার বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীলরা।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের দুনিয়ার জিন্দিগী খুবই সীমিত সময়ের জন্য। যেকোন মুহূর্তে আমাদেরকে পরপারে পাড়ি দিতে হবে। আর দুনিয়া হচ্ছে আখেরাতের শষ্যক্ষেত্র। তাই আমাদেরকে আখেরাতের পাথেয় ও পুঁজি দুনিয়াতেই সংগ্রহ করতে হবে। এজন্য আমাদেরকে বেশি বেশি নেক আমল করা দরকার।
তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে দুনিয়াতে খলিফা বা প্রতিনিধি হিসাবে প্রেরণ করেছেন। প্রতিনিধির কাজ হলো মালিকের আদেশ-নিষেধ যথাযথভাবে মান্য করা। আর আমাদের দায়িত্বই হলো মানুষকে আল্লাহ তা’য়ালার নিরঙ্কুশ গোলামী করার আহবান এবং সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা। নিজেদের ব্যক্তিগত আমলকে সুন্দর করে মানুষের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত গ্রহণযোগ্য ও ফলপ্রসূ করে তুলতে হবে। যাতে আমরা নিজেদেরকে পরিপূর্ণ মুমিন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। একটি সফল বিপ্লবের জন্য সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
মহানগারী সেক্রেটারি বলেন, জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে মানুষ গড়ার কারখানা। রুকনরা(সদস্য) হচ্ছেন সংগঠনের মূল ভিত্তি। তাই আত্মশুদ্ধি ও নিজেদেরকে ইসলামী বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে সকলকে বাইয়াতের প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে পূরুণ করতে হবে। মূলত, বাইয়াত আমাদেরকে জান্নাতের অভিযাত্রী হতে সহায়তা করে।
দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, দেশ ও জাতি এক গভীর সঙ্কটের মুখে পড়েছে। সরকার দেশকে একদলীয় বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করছে। তাই এ অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে হলে শপথের জনশক্তিদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতি গঠনের আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। তাহলেই দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব হবে।