মাফিয়াতান্ত্রিক অপশাসনের পরিবর্তে দেশে জনপ্রতিনিধিত্ব সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সফল করার জন্য সকলকে রাজপথে আপোষহীন ও অবিচল থাকার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের শেরেবাংলা নগর উত্তর থানা আয়োজিত এক সদস্য (রুকন) শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা আমীর আব্দুল আউয়াল আজমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি এডভোকেট আব্দুল হালিমের পরিচালনায় রুকন শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মোহাম্মদপুর জোন পরিচালক জিয়াউল হাসান। উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমীর শাহ আজিজুর রহমান তরুণ, বায়তুলমাল সম্পাদক হুমায়ুন কবির, থানা কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ সাইফুল ইসলাম শরীফ, হাফেজ শাহজাহান, মঞ্জুরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার সুজন ও অ্যাডভোকেট তাওহীদুর রহমান প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী অপরাজনীতি, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার কারণেই আমরা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সুফল থেকে অনেকটাই বঞ্চিত হচ্ছি। তারা তাদের অবৈধ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই দেশের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সহ রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে পরিণত করা হয়েছে প্রহসন কমিশনে। আর অবৈধ আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতায় টিকে রাখার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ অপরাপর কমিশনারগণ জাতীয় ভাঁড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। কথিত নির্বাচনের ভোটের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তথাকথিত পরিসংখ্যানে সে কথায় দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তিনি মাফিয়াতান্ত্রিক অপশাসনের পরিবর্তে দেশে জনপ্রতিনিধিত্ব সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সফল করার জন্য সকলকে রাজপথে দুর্বার থাকার আহবান জানান। অন্যথায় আমাদেরকে পলাশীর ভাগ্য বরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, জামায়াত কোন ক্ষমতাকেন্দ্রীক গতানুগতিক রাজনৈতিক দল নয়। আর যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখলও জামায়াতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নয় বরং জামায়াত একটি গণমুখী, আদর্শবাদী, কল্যাণকামী ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। গণমানুষের কল্যাণ ও আর্ত-মানবতার মুক্তিই জামায়াতের রাজনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। জামায়াত দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আপোষহীন আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আমরা মানুষের মধ্যে নৈতিক ও আদর্শিক বিপ্লবের সাধনের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে রুকনিয়াতকে ন্যুনতম মান নিধারণ করা হয়েছে। তাই সংগঠনের রুকনদেরকে আত্মগঠন সহ প্রয়োজনীয় ইসলামী ও বৈষয়িক জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে নিজেদের ইসলামী আন্দোলনের অকুতোভয় সিপাহসালারে পরিণত করতে হবে। তিনি দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে রুকন সহ সংগঠনের সকল স্তরের জনশক্তিকে ময়দানে সর্বশক্তি নিয়োগের আহবান জানান। তাহলেই দ্বীনের বিজয় অবশ্যাম্ভাবী হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।