বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর, রমনা থানার ৩৫ নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি আনোয়ার সা’দাতকে গত ১০ আগষ্ট সকাল ৮ টায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে পরবর্তীতে অস্বীকার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে সন্ধান সহ নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এক প্রতিবাদ লিপিতে মহানগরী আমীর বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র ও বিরাজনীতিকরণের পথ বেছে নিয়েছে। তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চিরতরে নির্মূল করে অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্যই প্রতিশ্রুতিশীল ও জনপ্রিয় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। মামলার পর মামলা দিয়ে রিমান্ডের নামে চালানো হচ্ছে নির্মম ও নিষ্ঠুর নির্যাতন। কথিত এনকাউন্টারের নামে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। অপহরণ ও গুম নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুপ্তহত্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনক ভাবে। যা সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা ও ফ্যাসীবাদী মানসিকতার পরিচয় বহন করে।
তিনি বলেন, সরকারের জুলুম-নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গত ১০ আগষ্ট সকাল ৮ টায় ঢাকার মগবাজারের বাসা থেকে রমনা থানার ৩৫ নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি আনোয়ার সা’দাতকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখন অস্বীকার করা হচ্ছে। এমনকি তার সন্ধান বা আইন অনুযায়ি তাকে আদালতেও সোপর্দ করা হয়নি। যা আইন ও সংবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন। এমতাবস্থায় তার পরিবার-পরিজন ও আত্মীয় স্বজনরা উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় সময় অতিবাহিত এবং তারা তার জীবন নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি আনোয়ার সা’দাতকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে আটক ও পরবর্তীতে অস্বীকারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে তার সন্ধান ও পরিবার-পরিজনের কাছে হস্তান্তর অথবা বিধি অনুযায়ি আইনের হাতে সোপর্দ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।