সরকারের দেশ, জাতিস্বত্তা, গণতন্ত্র, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে রুকনদেরকে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভাটারা থানা আয়োজিত বার্ষিক সদস্য ( রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর এডভোকেট রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ আব্দুল্লাহর পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লা। উপস্থিতি ছিলেন ভাটারা থানার সাবেক আমীর ইঞ্জিনিয়ার কে ইউ আহমেদ, থানা প্রচার সম্পাদক আহমেদ ওযায়ের, থানা সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কাশেম ও অফিস সম্পাদক আব্দুল বাতেন প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মুসা বলেন, সরকারের অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা দেশকে গভীর সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। তারা রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার নেতৃত্বশূণ্য করে দেশকেই পরাশ্রয়ী করদরাজ্য বানানোর জন্য কথিত বিচারের নামে জাতীয় নেতাদের একের পর এক হত্যা করে দেশের পবিত্র জমিন রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত করেছে। যা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরপত্তা, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ। তাই এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। তিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইসলামের আদর্শের ভিত্তিতে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানবজীবনের এমন কোন সমস্যা নেই যার সমাধান ইসলামে দেওয়া হয়নি। তাই আল্লাহর জমীনে আল্লাহর রাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে শাহাদাতের তামান্না নিয়ে সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ময়দানে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের গাইড বুক হচ্ছে পবিত্র কালামে হাকীম। তাই আমাদের প্রত্যেককে পবিত্র কুরআনের বিধান অনুযায়ি নিজেদের জীবনকে সাজাতে হবে। এজন্য আমাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন বেশি বেশি কুরআন, হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করা দরকার। একই সাতে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে প্রতিটি ঘরে ঘরে। তাহলেই ইসলামের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠছে। তিনি হারানো গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় পরিপূর্ণ বিজয় না আসা পর্যন্ত সকলকে রাজপথে সক্রিয় থাকার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাজিম উদ্দীন মোল্লা বলেন, আমাদেরকে পরিপূর্ণ মুসলমান হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ইবাদাত করতে হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য। কারণ, আমরা প্রত্যেকেই আল্লাহর পথের সৈনিক। আর আল্লাহর তা’য়ালার সন্তষ্টির মধ্যেই রয়েছে বিশ্বমানবতার ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি। এটিই হচ্ছে মুমিনের প্রকৃত সাফল্য। তিনি
দেশে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।