রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের একটি বাসা থেকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে পর্দানশীন নারীদের গ্রেফতার ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন।
এক বিবৃতিতে মহানগরী উত্তর আমীর বলেন, সরকার দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের পরিবর্তে দুষ্টেরই লালন করছে। সরকারের জিঘাংসা ও প্রতিহিংসা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না দেশের ধর্মপ্রাণ মহিলারাও। সে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় গতকাল রাজধানীর মোহাম্মপুরের তাজমহল রোডের বাসা থেকে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে ২৮ পর্দানশীন নারীকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতা মামলা দেয়া হয়েছে। মূলত গ্রেফতারকৃতরা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে একত্রিত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে কয়েকজন অশীতিপর বৃদ্ধা এবং কয়েকজনের দুগ্ধজাত শিশুর মা থাকলেও তাদের সাথে মানবিক আচরণ করা হয়নি। পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার কাল্পনিক অভিযোগ তুলেছে। যার সাথে সত্যের দুরতম সম্পর্কও নেই। মূলত ঘরোয়া অনুষ্ঠান থেকে ধর্মপ্রাণ নারীদের গ্রেফতার সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই জামায়াতের বিরুদ্ধে বরাবর বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্তাপন করে যাচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় পর্দানশীন নারীদের জামায়াত কর্মী হওয়ার বাহানা তুলে শুধুমাত্র হয়রানী করার জন্যই কথিত রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে মামলা দেয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ি জামায়াত একটি বৈধ রাজনৈতিক সংগঠন এবং দলটির রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন ও বৈঠকাদি করা বেআইনী নয়। কিন্তু সরকার এসব নারীদের বেআইনীভাবে গ্রেফতার করে রাষ্ট্রের সংবিধান ও নিজ দলীয় গঠনতন্ত্রের মারাত্মক লংঘন করেছে। যা সরকারের ফ্যাসীবাদী ও বাকশালী মানসিকতার পরিচয় বহন করে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন স্বৈরাচার চিরস্থায়ী হয়নি, আর কেউ হবেও হবে না। তিনি বৃদ্ধাসহ পর্দানশীন মহিলাদের আটক ও ভিত্তিহীন অভিযোগে মামলা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।