বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভাষানটেক থানার আয়োজনে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বার্ষিক রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা আমীর ডা: দ্বীন মোহাম্মাদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহাগনরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক। উপস্থিত ছিলেন অঞ্চল টিম সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন মোল্লা ও মুফতি মাসুদুর রহমান প্রমূখ।
ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে নিজেদের নেতৃত্বের গুণাবলী সৃষ্টি ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে চলমান শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদেরকে যোগ্যতর হিসাবে গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর জোন আয়োজিত এক বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জোন পরিচালক জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আব্দুল হান্নান,সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল আজম প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, আমাদের দুনিয়ার জিন্দিগী খুবই সীমিত সময়ের জন্য। যেকোন মুহুর্তে আমাদেরকে পরপারে পাড়ি দিতে হবে। আর দুনিয়া হচ্ছে আখেরাতের শষ্যক্ষেত্র। তাই আমাদেরকে আখেরাতের পাথেয় ও পুঁজি দুনিয়াতেই সংগ্রহ করতে হবে। এজন্য আমাদেরকে বেশি বেশি নেক আমল করা দরকার। মূলত, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে দুনিয়াতে খলিফা বা প্রতিনিধি হিসাবে প্রেরণ করেছেন। প্রতিনিধির কাজ হলো মালিকের আদেশ-নিষেধ যথাযথভাবে মান্য করা। আর আমাদের দায়িত্বই হলো মানুষকে আল্লাহ তা’য়ালার নিরঙ্কুশ গোলামী করার আহবান এবং সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা। নিজেদের ব্যক্তিগত আমলকে সুন্দর করে মানুষের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত গ্রহণযোগ্য ও ফলপ্রসূ করে তুলতে হবে। যাতে আমরা নিজেদেরকে পরিপূর্ণ মুমিন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। তিনি একটি সফল বিপ্লবের জন্য সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে মানুষ গড়ার কারখানা। রুকনরা হচ্ছেন সংগঠনের মূল ভিত্তি। তাই আত্মশুদ্ধি ও নিজেদেরকে ইসলামী বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে সকলকে বাইয়াতের প্রতিশ্রæতি যথাযথভাবে পূরুণ করতে হবে। মূলত, বাইয়াত আমাদেরকে জান্নাতের অভিযাত্রী হতে সহায়তা করে। তিনি রাজনৈতিক সঙ্কটের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, দেশ ও জাতি এক গভীর সঙ্কটের মুখে পড়েছে। সরকার দেশকে একদলীয় বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করছে। তাই এ অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে হলে শপথের জনশক্তিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতি গঠনের আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। তাহলেই দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।