৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের এ মৌসুমের সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা। এমন অবস্থায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড় জেলার মানুষ। টানা শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মৌসুমের সর্বোচ্চ শীত অনুভূত হয়েছে। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেনি। গতকাল সকাল ১০টার দিকে সূর্যের মুখ দেখা যাওয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। বিকাল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও উত্তরের কনকনে শীতল বাতাসের কারণে রোদের উষ্ণতা খুব কম অনুভূত হয়েছিল। বাতাস ও কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হতে থাকে দেশের এই উত্তরের জেলা। মধ্যরাত থেকে বৃষ্টির মতো ঝরেছে বরফ শিশির।
হিম বাতাসে ঝরেছে শীতের পারদ। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়োজনের বাইরে মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।
তীব্র শৈত্যপ্রবাহে শীতবস্ত্রের অভাবে পড়েছে প্রায় দুই লক্ষাধিক শীতার্ত মানুষ। এরইমধ্যে সরকারিভাবে প্রায় ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ব্যক্তি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও প্রায় ২০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হলেও এখন শীতবস্ত্র পায়নি প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। চলতি শীত আর বেশিদিন না থাকলেও যে কয়দিন থাকবে এ নিয়ে উৎকণ্ঠায় পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষগুলো। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শুক্রবার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। তবে সকালেই সূর্য দেখা যাওয়ায় দিনের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। বিকাল ৩টায় এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের তীব্রতা এর চেয়ে আর বেশি বাড়বে না। রাতের সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা প্রায় একই অবস্থানে থাকবে। তবে দিনের রোদের কারণে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। এতে করে দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হবে।