বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম বলেছেন, সরকার সাজানো মামলা, ফরমায়েসী সাক্ষী ও দলীয় প্রসিকিউশনের মাধ্যমে বিশ্ববরেণ্য মুফাসফিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দন্ডিত করেছে। ফলে আল্লামা সাঈদী ন্যায়বিচার থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু দেশপ্রেমী ও ইসলামপ্রিয় জনতা সরকারের সে ষড়যন্ত্র কখনোই মেনে নেবে না। তিনি আল্লামা সাঈদীর দন্ডাদেশ বাতিল করে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। সরকারকে একদিন এই অন্যায়-অবিচারের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি আজ রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত বিশ্ববরেণ্য মুফাস্সিরে কুরআন ও জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়ার প্রেক্ষিতে এক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে একথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে থেকে শুরু হয়ে কুড়িল বিশ্বরোডে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরী সহকারী সেক্রেটারী লস্কর মোঃ তাসলিম ও মাহফুজুর রহমান, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দিন মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন, মহানগরী শুরা সদস্য এডভোকেট সুজা উদ্দিন, ডাঃ ফখরুদ্দীন মানিক, মোস্তাফিজুর রহমান, হোসাইন আহমদ, সাইফুল ইসলাম, এডভোকেট ইব্রাহীম খলিল, শাফিউর রহমান, ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তর ও পশ্চিমের সভাপতি যথাক্রমে জামিল মাহমুদ ও ডাঃ মুজাহিদুল ইসলাম এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ।
ড. করিম বলেন, স্থানীয় জনৈক বিশাবালীকে হত্যার কথিত অভিযোগে আল্লামা সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়েছে। কথিত ঐ হত্যাকা-ের সাথে তার দূরতম সম্পর্ক ছিল না। ট্রাইব্যুনাল থেকে বিশাবালীর ভাই সুখরঞ্জনবালী সরকার কর্তৃক অপহৃত হওয়ায় প্রমাণ হয় যে, নালিশি হত্যাকান্ডের সাথে এই বিশ^বরেণ্য আলেমের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। অপহৃত সুখরঞ্জন বালী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দিতে পারলে আল্লামা সাঈদী বেকসুর খালাস পেতেন। তাই সরকার ও প্রসিকিউশন যোগসাজস করেই সুখরঞ্জন বালীকে পরিতল্পিতভাবে অপহরণ ও গুম করেছে। ঘটনার ধারাবাহিকতায় সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় যে, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আল্লামা সাঈদীকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করতেই বরেণ্য আলেমে দ্বীন এবং জনপ্রিয় জাতীয় নেতৃবৃন্দকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। সরকারের সেই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই সাবেক আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা এবং মীর কাসেম আলীকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু শহীদানের রক্ত কখনোই বৃথা যাবে না বরং শহীদের রক্তের পথ ধরেই ইসলামী আদর্শ বিজয়ী হবে। তিনি দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহবান জানান।