৭ জানুয়ারির কথিত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশবাসী বাকশালীদের নতুন এক নাটক মঞ্চায়নের দৃশ্য অবলোকন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ রাজধানীর উত্তরায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত প্রহসন ও ডামি নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার দাবিতে উত্তরার আজমপুরে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, ঢাকা মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা এম আলম, আবু সাঈদ শাহনেওয়াজ, আবু মুসয়াব, আব্দুল্লাহ সাদিক, মাওলানা হারুন অর রশীদ তারেক ও ছাত্রনেতা রাকিব উদ্দীন প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবেই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। ৭ জানুয়ারির সাজানো, পাতানো ও নীলনকসার নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হয়েছে তারা গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাম্য ও মানবাধিকারের জন্য সহায়ক শক্তি নয় বরং দেশ, জাতি ও মানবতার শত্রæ। কথিত এ নির্বাচনে কোন স্বীকৃত বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও একতরফা নির্বাচনও সুষ্ঠু ও অবাধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী এজেন্ডার অংশ হিসাবেই কোন কোন আসনে নৌকার প্রতীকের প্রার্থীদের পরাজিত দেখানো কথিত স্বতন্ত্রের নামে আওয়ামী ডামী প্রার্থীদের বিজয়ের নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। পরাজিত হওয়ার পর সরকার দলীয় প্রার্থীদের প্রতিক্রিয়া আন্দোলনরত বিরোধী দলের অনুরূপ হওয়ায় স্পষ্টতই প্রণাণিত হয় যে, সেদিন দেশে কোন নির্বাচন হয়নি বরং নির্বাচনের নামে ঢাক ঢাক গুর গুর খেলার আয়োজন করা হয়েছে। তাই সরকারের এই সাজানো ও পাতানো নির্বাচন জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।
তিনি বলেন, কথিত এই নির্বাচনে জনগণের কোন অংশ গ্রহণ ছিল না। দেশের মানুষ নির্বাচনকে ‘না’ বলে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটদান থেকে বিরত থেকে নিরবে-নিভৃতে বাকশালীদের প্রতি ঘৃণার উদগীরণ করেছে। কিন্তু আওয়ামী-বাকশালীদের জনগণের চাপা ক্ষোভ কোনভাবেই উপলব্ধি করতে পারেনি বরং ভোট ডাকাতির মহোৎসবের মাধ্যমে ভৌতিক বিজয় অর্জন করে দানবীয় বিজয়োল্লাস করে বিক্ষুব্ধ জাতির কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়েছে। তিনি জনগণের আবেগ ও অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে কথিত নির্বাচন বাতিল, সরকারের পদত্যাগ এবং কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের করে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহবান জানান। অন্যথায় জনগণের চাপা ক্ষোভ জনবিষ্ফোরণে রূপ নেবে।
মিরপুরে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
কেন্দ্র ঘোষিত গনসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে মিরপুর অঞ্চলের উদ্যোগে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে শাহআলি থানা আমীর নকিব ফেরদৌস, থানা সেক্রেটারি গোলাম হাফিজ, স্থানীয় জামায়াত ও ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
ফার্মগেটে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণার দাবিতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ থানার নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা জাওয়াদুল করিম, এস রহমান, ছাত্র নেতা ইসমাঈল চৌধুরী ও সোয়েব রিয়াজ প্রমূখ।
শিল্পাঞ্চল থানায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে শিল্পাঞ্চল থানার উদ্যোগে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। থানা সেক্রেটারি নূর উদ্দিনের নেতৃত্বে সাতরাস্তা, দক্ষিণ বেগুনবাড়ি, দীপিকার মোড় , মধ্য বেগুনবাড়ি ও বড় বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা ইমরান হোসাইন, সেলিম উদ্দিন ও ওমর ফারুক প্রমূখ।
শেওড়াপাড়ায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
৭ জানুয়ারির প্রহসনমূলক ডামী নির্বাচন বাতিল করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে জামায়াতে ইসলামী কাফরুল থানা। সকালে মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুল মতিন খানের নেতৃত্বে শেওড়াপাড়া এলাকায় জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।