জামায়াতের শীর্ষনেতারা হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে জীবন দিয়েছেন। কিন্তু অন্যায় ও অসত্যের সাথে কোন ভাবেই আপোষ করেন নি। -মাওলানা আব্দুল হালিম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, স্বীকৃত সকল বিরোধী দল ও গণবর্জনের মাধ্যমে মাধ্যমেই ৭ জানুয়ারি তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন আগেই গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। কথিত এ নির্বাচনে কতিপয় দালাল, ফরিয়া ও রাজনৈতিক এতিম ছাড়া সাধারণ মানুষের কোন আগ্রহ নেই। তাই সরকার ও দলদাস নির্বাচন কমিশনের যুগপৎ রঙ-তামশা মোকাবেলায় ডামি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকুন। অন্যথায় আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েবে।
তিনি আজ সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পূর্ব জোন আয়োজিত এক ভার্চুয়াল রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য, উত্তরা পূর্ব জোনের পরিচালক মুহাম্মদ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আবদুর রহমান মূসা। অনুষ্ঠানে দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ওলামা বিভাগের সভাপতি ডক্টর মাওলানা হাবিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন জোন নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ জুলুমবাজ ও ফ্যাসীবাদী সরকার জামায়াতকে বিশেষভাবে টার্গেট করে নির্মম ও নিষ্ঠুর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন। এর আগে জামায়াতের শীর্ষনেতারা হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে জীবন দিয়েছেন; কিন্তু অন্যায় ও অসত্যের সাথে কোন ভাবেই আপোষ করেন নি। তিনি প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখান, কেয়ারটেকার সরকার পুনঃ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি আদায় এবং স্বৈরাচার, তাবেদার ও জালেম সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রহমান মূসা বলেন, জামায়াতের রুকন কোন পদের নাম নয়; এটা মানের নাম। তাই এ মান রক্ষায় সবাই কে সচেষ্ট হতে হবে। ঈমান, দেশ, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে রুকনদে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি সরকারের পাতানো ও সাজানো নির্বাচন প্রতিহত করতে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে ‘না’ বলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।